সামনে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। এই নিয়ে শহর কলকাতায় ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দল। এই পরিস্থিতিতে হুগলি জেলার সিঙ্গুরে চলছে বিজেপির কিষাণ মোর্চার ধর্না। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে ফিসফাস শুরু হয়েছে। সেই ধর্না মঞ্চে দেখা যায়নি এই লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার প্রচারেও তাঁর দেখা মিলছে না। আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রচারের শেষদিন। হ্যাঁ, তিনি লকেট চট্টোপাধ্যায়। যাঁর নামকে ঘিরে পড়ল নিখোঁজ পোস্টার। তাও আবার তাঁর লোকসভা কেন্দ্রেই। যদিও এই ঘটনাকে তৃণমূল কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র বলেই দেখছেন লকেট।
পোস্টারে কী লেখা আছে? একাধিক জায়গায় যে পোস্টার মানুষ দেখতে পেয়েছেন সেখানে লেখা রয়েছে, ‘নিখোঁজ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সন্ধান চাই’। হুগলির পাণ্ডুয়ায় এই পোস্টারে এলাকা ছয়লাপ। কারা লাগাল এই পোস্টার? উঠেছে প্রশ্ন। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পাণ্ডুয়ার ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এখানে রাজনীতি নেই, বরং সাধারণ মানুষই এই পোস্টার লাগিয়ে থাকতে পারেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রত্না দে নাগকে হারিয়ে হুগলি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি কেন্দ্র পাণ্ডুয়া। এখানেই এবার পড়ল বিজেপি সাংসদের নিখোঁজ পোস্টার। আর তা নিয়েই সকাল থেকে চর্চা শুরু হয়েছে এই জেলার চায়ের দোকানে। একুশের নির্বাচনে অবশ্য এখান থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রত্না দে নাগ। তিনি এখন বিধায়ক।
সামনে উত্তরাখণ্ড বিধানসভার নির্বাচন। তাই সেখানে সংগঠনের কাজে ব্যস্ত লকেট চট্টোপাধ্যায়। তার মধ্যেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রে এমন পোস্টার প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যদি অন্য কোনও রাজ্যে নির্বাচন থাকে, তখন আমরা তাঁদের পাশে থাকি। সবাই জানে সেটা। বাংলার মানুষ বুঝতে পারছে, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র। আমাদের নেতা–কর্মীরা এই ঘটনার জবাব দেবেন।’