বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী অনেক কড়া মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি তিনি ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোঁড়া তিরের জবাব দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার বাড়ির সদস্যরাও পদ্ম ফোটাবে।’ এই কথা তিনি বলেছিলেন কারণ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দাবি করেছিলেন, যে ঘরেই পদ্ম ফোটাতে পারেনি, সে বাংলায় পদ্ম ফোটাবে কি করে! তার জবাবই দিয়েছিলেন শুভেন্দু।
তারপর দেখা যায়, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। আর এখন শিশির অধিকারীকেও সাইড করে দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেও দলের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না। প্রকাশ্যে দিব্যেন্দুকে বলতে হচ্ছে, আমি তৃণমূলেই আছি। দলের সব অনুষ্ঠানেই থাকব। আমন্ত্রণ পেলেই থাকব।
এই পরিস্থিতিতে নিজের গড় কাঁথিতে বিজেপি’র সংগঠন জোরদার করতে তত্পর শুভেন্দু অধিকারী। রণকৌশল ঠিক করতে আজ নিজের বাড়িতেই বৈঠক করলেন তিনি। সেখানে শিশির অধিকারীর সঙ্গে এসে দেখা করেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাত–সহ বেশ কয়েকজন নেতা। পরে বলেন যে একান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎকার। আগামী ১ জানুয়ারি কাঁথির ডরমেটরি সংলগ্ন মাঠে বিজেপি’র সভা হবে। যেখানে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী নিজে। ওই সভা থেকে কাঁথি পুরসভার ১৬ জন কাউন্সিলর–সহ তৃণমূলের অনেক নেতাই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর।