গত বুধবারই বাংলা থেকে চারজন সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়েছিল। এবার গতকাল, বিজেপি বাংলার আরও দুই নেতাকে সর্বভারতীয় স্তরে দলের সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিল। দার্জিলিং সহ পাহাড়ে রাজু বিস্তকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার একটা রব উঠেছিল। সেই দাবি না মানা হলেও সংগঠনে পদন্নোতি হল বিস্তের। এদিকে দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহাকেও সর্বভারতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে ভালো ফল করেছে বিজেপি। মনে করা হচ্ছে, এর ফল স্বরূপ দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব বাড়ানো হল দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তের। সর্বভারতীয় বিজেপির মুখপাত্রর পর এবার তাঁকে ভারতীয় যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। বুধবার যুব মোর্চার সর্ব ভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য একটি নির্দেশিকা জারি করে বিষয়টি জানিয়েছেন। আর দলের এই সিদ্ধান্তে খুশির আবহ দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গের যুব মোর্চা ও গেরুয়া শিবিরে। লোকসভা নির্বাচনের পর বিধানসভা নির্বাচনেও উত্তরবঙ্গে রাজ্যের শাসকদলকে পরাস্ত করার পাশাপাশি দার্জিলিং জেলায় বিজেপির ভালো ফলাফলের জন্যই তাঁকে দল বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তকে গুরুত্ব দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন দার্জিলিঙের বিজেপি বিধায়ক নীরজ তামাং জিম্বা।
এদিকে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদে মনোনীত করা হয়েছে দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহাকে। এদিকে বিশ্লেষকদের মত, গত বুধবার সৌমিত্র খাঁ যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে পরে তা প্রত্যাহার করেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেই দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। বিষয়টি ভালো চোখে হয়ত দেখেনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই সৌমিত্রর থেকে তুলনামূলক নতুন মুখদের সর্বভারতীয় স্তরে তুলে নিয়ে ঘুর পথে বিষ্ণুপুরের সাংসদকে বার্তা দিয়ে থাকতে পারে দল।