বিদ্রোহ কিছুতেই কমছে না বঙ্গ–বিজেপিতে। বরং উত্তরোত্তর বেড়েই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ করল রাজ্য বিজেপি। দলবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার জন্য এই শোকজ বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তারপরও দমানো যাচ্ছে না কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। তিনি কড়া ভাষা প্রয়োগ করেছেন।
ঠিক কী বলেছেন বনগাঁ বিজেপির সাংসদ? এই শোকজের পর তিনি সংবাদমাধ্যমে কড়া ভাষায় বলেন, ‘শোকজ করেছে করুক না। যা করতে চায় ওরা করুক। আমার সঙ্গে আরও অনেক নেতা বৈঠক করবেন। সারা পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা বৈঠক করবেন। সবাইকে কি বাদ দিয়ে দেবে? সব বিক্ষুব্ধদের বাদ দেওয়া কি সম্ভব?’ সুতরাং এই বিদ্রোহ চলবে বলে তিনি কার্যত জানিয়ে দিলেন।
সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘বিপ্লব করে খবরে থাকার চেষ্টা করবেন না।’ তখনই বোঝা গিয়েছিল এই হুঁশিয়ারিতে সতর্ক না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠিক তাই হল। নেতাজি জন্মজয়ন্তীর দিনই দুই রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ–রীতেশকে শোকজ করল রাজ্য বিজেপি।
এই দু’জন শান্তনুর ডাকে গত সোমবার চড়ুইভাতিতে যোগ দিয়েছিলেন। আরও অনেকে ছিলেন। তবে এই দু’জন কখনও দিলীপ ঘনিষ্ঠ ছিলেন না। এমনকী সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গেও বিশেষ সখ্য ছিল না তাঁদের। সদ্য তৈরি হওয়া কমিটিতে জায়গা না পাওয়ায় তাঁরা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। রাজ্য পার্টির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধ গোষ্ঠী ছিলেন এঁরা এবং শান্তনু ঠাকুর। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই ঘটনা দিয়ে কী শান্তনুকে বার্তা দিতে চাইল বিজেপি?
আজ, রবিবার নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার গৈপুরে পুরমণ্ডলের সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাগানবাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গিয়ে শোকজ নিয়ে সুর চড়ালেন শান্তনু। কয়েকদিন আগে তিনি বলেছিলেন, ‘সুরের থেকে যদি বেসুর শুনতে ভাল লাগে তা হলে মানুষের কাছে সেটাই সুর।’ জয়প্রকাশ ও রীতেশকে শোকজ করে বিদ্রোহ বাড়ল কিনা তা সময়ই বলবে।