এবার অ্যাকশন মুডে দেখা গেল সৌমিত্র খাঁকে। বিষ্ণুপুরে নিজের প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলকে হারিয়ে আবার জিতেছেন লোকসভা নির্বাচনে। আর এবার বালি চুরি নিয়ে সোচ্চার হলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি দাবি করেছেন, বালিখাদগুলিতে বড়রকম দুর্নীতি চক্র চলছে। এমনকী খণ্ডঘোষ, ইন্দাস এবং পাত্রসায়র এলাকায় অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে। সেই খবর এসেছেন তাঁর কাছে। কদিন আগেই বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ গলসিতে দলের একটি বৈঠকে যোগ দেন। বর্ধমান সফরের পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন।
বালি পাচার নিয়ে আগে বহু অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি নেতারা সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন। কিন্তু তার কোনও প্রমাণ তাঁরা দিতে পারেননি। শুধু তাই নয়, কয়লা পাচার–বালি পাচার–গরু পাচারের মতো অভিযোগ তোলা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে। এবার সৌমিত্র খাঁয়ের অভিযোগ, যতটা গভীরে গিয়ে বালি তোলা নিয়ম, তার চেয়ে বেশি গভীরে গিয়ে তোলা হচ্ছে। আর তার জেরে আশেপাশের এলাকাগুলিতে সেচের জল পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার টিউবওয়েল বা কুয়োয় জল নেই। অনেক টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। তাই আদালতে গিয়ে ইডির তদন্তের দাবি জানাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বাড়িতেই নেবেন বিশ্রাম, কেমন আছেন এখন?
এখন প্রচণ্ড গরম পড়েছে সারা বাংলা জুড়ে। সুতরাং জলের চাহিদা বেড়েছে। সেখানে জলের সংকট দেখা দিয়েছে। এলাকার টিউবওয়েল এবং কুয়োতে জল আসছে না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তুলছেন। আজ, রবিবার কুলটির বিজেপি বিধায়ক জলের সংকট নিয়ে পথ অবরোধ করেন। সেখানে সৌমিত্র খাঁর অভিযোগ, ‘ঝাড়খণ্ডের একটি চক্র এই বালি চুরির কাজ করছে। স্থানীয় লোকজন বালি পাচ্ছেন না। অথচ বাইরে কোটি কোটি টাকায় সেই বালি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ডিএম, এসপিরা খাদানগুলিতে বালির এমন লুঠ চালাতে পরোক্ষে অনুমতি দিচ্ছেন। এই সবের পিছনে রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষ নেতাদের হাত আছে।’
সৌমিত্র খাঁ এমন অভিযোগ তুললেও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ আগে বহু অভিযোগ এমন করা হয়েছে। যার কোনও সারবত্তা নেই। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা দেবু টুডু। তাঁর বক্তব্য, ‘অভিযোগ করে দিলেই তো হয় না। সাংসদের মাথার ঠিক নেই। তাই এমন ভারসাম্যহীন কথা বলে ফেলছেন। যাতে কোনও লাভ নেই। এটা দেখার জন্য প্রশাসন আছে। অনিয়ম হলে তাঁরা দেখবেন। উনি কি বালির ভাগ চাইছেন? আদালতে উনি যেতেই পারেন। মানুষ তো ওদের প্রত্যাখান করেছেন।’