বাংলায় সিএএ–র দাবিতে শান্তনুর নেতৃত্বে নদিয়ায় মতুয়াদের মিছিল, কটাক্ষ করলেন মহুয়া

মহুয়া মৈত্রর কথায়, ‘‌বিজেপি–র লোকজন অশিক্ষিত। কিন্তু ওরা মতুয়াদের ক্রমাগত ভুল বোঝাচ্ছে। তৃণমূল থাকতে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ কার্যকর হবে না। আমরা তা হতে দেব না।’

বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ফাইল ছবি

করোনার জেরে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ–র বিরুদ্ধে আন্দোলন বা তার পক্ষে প্রচারের কর্মসূচি বন্ধ হয়ে পড়ে। এবার আনলক পর্বের ষষ্ঠ পর্যায়ে ফের সিএএ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে কেন্দ্র। শুক্রবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে নদিয়ার বগুলায় রাস্তায় নামে মতুয়া সমাজ। বিশাল মিছিলের পর হয় সমাবেশ। আর তার নেতৃত্ব দেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

শান্তনু ঠাকুর এদিন সমাবেশে বলেন, ‘‌আমরা জানি সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাস্তবায়িত হয়েছে। আমরা চাই আপনারা এর সুবিধা দ্রুত পান। কিন্তু এটা জেনে রাখুন, যতদিন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সরকার থাকছে ততদিন ওরা এই আইন রাজ্যে কার্যকর হতে দেবে না। তাই সিএএ বলবৎ করতে তৃণমূল সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবেই।’‌

এদিকে, মতুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে এদিন দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের নদিয়া জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র। তাঁর কথায়, ‘‌বিজেপি–র লোকজন অশিক্ষিত। ওই মিথ্যাবাদীগুলো কী বলল তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কিন্তু ওরা মতুয়াদের ক্রমাগত ভুল বোঝাচ্ছে। তৃণমূল থাকতে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ কার্যকর হবে না। আমরা তা হতে দেব না।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলা সফরে এসে সিএএ বলবৎ হওয়ার কথা উস্কে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‌সিএএ আইন দ্রুত প্রয়োগ হবে। করোনার পরিস্থিতি দেখে নিয়ে আইন প্রয়োগ করা হবে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’‌ আর জে পি নাড্ডার কথায়, ‌‘‌সবাই এই আইনের সুবিধা পাবেন। পেতে বাধ্য। এখন বিভিন্ন আইনকানুন তৈরির কাজ চলছে। তবে করোনা পরিস্থিতির জেরে সাময়িকভাবে তা থমকে রয়েছে। করোনা মিটলেই নাগরিকত্ব আইনের সুবিধা সকলে পাবেন।’ দলের নির্দেশ মেনে রাজ্যে শান্তনু ঠাকুরের হাত ধরে ফের সিএএ প্রচার শুরু হল বলা যেতেই পারে।