কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের পর ফের CAA কার্যকর হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আর তাতেই ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তাঁর দাবি, CAA কার্যকর করা নিয়ে কোনও রকম আপোস করতে নারাজ তিনি। যত দ্রুত সম্ভব CAA কার্যকর করার দাবিতে ফের সরব হয়েছেন তিনি।
CAA নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিজেপির ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন মতুয়ারা। ওদিকে বিজেপির দাবি, CAA-র বিধি তৈরির কাজ চলছে। ফলে কিছুটা সময় লাগবে। এরই মধ্যে গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এত বড় অভিযান সম্ভব নয়। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। করোনার টিকা বাজারে এলে ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে আমরা এবিষয়ে ভাবব।
গত সপ্তাহে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঠাকুরনগর সফরে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল শাহের এই মন্তব্যে তাতে নিমিষে মিলিয়ে যায়। গত সপ্তাহে ঠাকুরনগরে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কৈলাস জানিয়েছিলেন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে CAA.
রবিবার শাহের মন্তব্যের পর ফের ক্ষোভ মাথা চাড়া দেয় মতুয়াদের মধ্যে। শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। CAA কবে কার্যকর হবে তা আমরা ঠিক করতে পারি না। সেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকেই নিতে হবে। এর ভাল – মন্দ ওরাই বুঝবেন। তবে CAA কার্যকর করা নিয়ে আমি কোনও আপোসে যাব না।’
গত কয়েক মাস ধরেই দলের সঙ্গে শান্তনুর সম্পর্ক অম্লমধুর। দলীয় কর্মসূচিতে তেমন দেখা যায় না তাঁকে। তাঁর জেলায় কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এলেও সেখানে দেখা যায়নি শান্তুনুকে। চলতি মাসেই দিলীপ ঘোষের বনগাঁ সফরের সময়ও তাঁর দেখা মেলেনি।
শান্তনুর ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে বিজেপিতে ভাঙন ধরাতে তৎপর হয়ে উঠেছে তৃণমূল। শান্তনুকে তাদের আহ্বান, মতুয়াদের জন্য কাজ করতে তৃণমূলের দরজা খোলা রয়েছে তাঁর জন্য।