পঞ্চায়েত চোরের আখড়া। আর বিডিও’রা ডাকাত এই কথা বলে বিতর্ক তৈরি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার সেই বিতর্ককে ছাপিয়ে গিয়ে চরম কুকথা প্রয়োগ করে বিডিও–কে আক্রমণ করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তা নিয়ে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমেছে বিরোধী দল–শাসকদল। আর তার মধ্যেই কুমন্তব্য করে আবার চর্চায় বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ।
ঠিক কী বলেছেন সৌমিত্র খাঁ? আজ, মঙ্গলবার সোনামুখী বিডিও অফিসে দলের পক্ষ থেকে এক ডেপুটেশন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছিলেন বিজেপি সাংসদ। সেখানেই তিনি বলেন, ‘একজন দেহব্যবসায়ীর অধীনে চলে গিয়েছে সোনামুখীর বিডিও অফিস’। এই মন্তব্য করতেই রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি সাংসদরা হঠাৎ বিডিও–দের আক্রমণ করতে শুরু করলেন কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আর কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? এদিন প্রচণ্ড ক্ষেপে ওঠেন সৌমিত্র খাঁ। আর সেটা প্রকাশ পায় সবায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘হোটেলে দেহব্যবসা হয়। ওই দেহব্যবসায়ীর কথায় এখানকার বিডিও চলছেন। এভাবে চললে সোনামুখীর উন্নয়ন কিভাবে হবে? ওই ‘দেহব্যবসায়ী’ শহরে–গ্রামে বাড়ি বিক্রি করছেন। দূর্নীতিগ্রস্ত সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। সবাই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন না। পেনশন আটকে যাবে।’ এরপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের বক্তব্যে অনড় থেকে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘দেহ ব্যবসায়ী বলে কাকে ইঙ্গিত করেছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। তিনি একজন আইএনটিটিইউসি নেতা। তাবিজ, মাদুলি আর কবজ যাই লাগাক কাজে লাগবে না।’
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? সৌমিত্রের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা আইএনটিটিইউসি’র সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘দেহ ব্যবসার জায়গাগুলি সৌমিত্র খাঁ বেশি জানেন। কারণ বাংলার প্রত্যেকটা দেহ ব্যবসার জায়গায় ওনার যাতায়াত আছে। উনি সাংসদ হয়েছেন, এটা বিষ্ণুপুর তথা বাংলার দূর্ভাগ্য।’