নিজে ডাক্তার। তাও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের ধারায় অভিযোগ দায়ের হল বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা ছড়ানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে বাকুড়া জেলার পুলিশ।
কেন কিছু মৃতদেহ চুপিসাড়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই নিয়ে পোস্ট করেছিলেন সুভাষ সরকার। ১৩ তারিখ পোস্ট করার পর ১৪ তারিখ তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে সুভাষ সরকারের বক্তব্য, 'লুকিয়ে দুটি মৃতদেহ কবর দেওয়ার ঘটনাটি তুলেছিলাম। এটা ভাল যে জানা গিয়েছে, সেই দুই মৃত ব্যক্তির করোনা ছিল না। কিন্তু যে ভাবে ওই দুটি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়, জেলার মানুষদের মধ্যে এই নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল।'
তবে এই ব্যাখ্যায় বিশেষ সন্তুষ্ট নয় পুলিশ। তারা ডিএমএ অ্যাক্টের ৫৪ ধারা ও আইপিসির ৫০৫ (১বি) ও ১৮৮ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে। ডিএমএ অ্যাক্টের ৫৪ ধারা হল যারা ভুল তথ্য রটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, সেই বিষয়টি নিয়ে।
বিজেপির তিন সাংসদ জন বারলা, অর্জুন সিং ও রাজু বিস্তা অভিযোগ করেছেন যে তাদের ত্রাণ বিলি করতে দেওয়া হয়নি। জন বারলা এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় যদিও নিজের কেন্দ্রে ত্রাণ বিলি করেছেন। তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ এই মহামারীর সময় লকডাউন না মেনে নানান রকম গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা।