২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই জনসংযোগ বাড়াতে ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই দৌড়ে পিছিয়ে নেয় বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে জনসংযোগ বাড়াতে ময়দানে নেমে পড়লেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডা. সুভাষ সরকার। এদিন বাসে চড়ে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জনসংযোগ বাড়ান। যদিও দলীয় কর্মী নিয়ে বাস ভাড়া করে সাংসদ নাটক করছেন বলে কটাক্ষ তৃণমূলের।
আজ শনিবার প্রথম পর্বের প্রচার সারতে দেখা যায় বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদকে। এদিন তিনি বাঁকুড়া শহরের গোবিন্দনগর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে চড়ে প্রথমে বাঁকুড়া শহরের উপকণ্ঠ পোয়াবাগান হয়ে রওনা দেন খাতড়া, জঙ্গলমহলের রানীবাঁধ হয়ে ঝিলিমিলিতে। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল খাতড়ায় পৌঁছে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন তিনি। বাসের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে অভাব অভিযোগ শোনেন সাংসদ। এদিন তিনি খাতড়া ঢুকেই এলাকার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তার বেহাল অবস্থার অভিযোগ শোনেন মন্ত্রী। সে বিষয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার রাস্তা সংস্কারের জন্য রাজ্যকে প্রচুর টাকা দিয়েছে। এই রাস্তা রাজ্য সরকারের অধীনে তাই মহকুমা শাসককে চিঠি লিখে বাসিন্দাদের অভিযোগ জানাতে বলেন মন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে যে দুর্নীতি হচ্ছে সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে আগামী রণকৌশল তৈরি করবে বিজেপি। সব আসনেই বিজেপি ভালো ফল করবে।’
এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষ থেকে চিত্ত মাহাতো জানান, ‘জঙ্গলমহলের সব মানুষই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষেবা পাচ্ছে। তাই ওনার এই প্রচার কোনও প্রভাব ফেলবে না, বাসে চেপে শহরের মানুষের মন জেতা যায়, গ্রামের মানুষের যায় না।’ বাঁকুড়ার তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাস ভাড়া করে দলীয় কর্মীদের নিয়ে উনি যাত্রাপালা করতে বেরিয়েছেন।’