হাতে আর বেশি সময় নেই। আর পাঁচদিন পরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যে সাজ সাজ রব। শহর থেকে গ্রামবাংলা দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতে চূড়ান্ত ব্যস্ত। একের পর এক দুর্গাপুজো উদ্বোধন করে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা বলে কি পিছিয়ে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার? না, তিনি পিছিয়ে থাকবেন না। আর এগিয়ে যাওয়ার জন্য রাজনীতি থেকে বেরিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের মাস্টারমশাই হিসাবে ক্লাস নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। ক্লাস নিয়ে বললেন আমি আগে শিক্ষক। পরে রাজনীতিবিদ।
এই দৃশ্য দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করেছিলেন। পড়ুয়া, শিক্ষক–শিক্ষিকা থেকে বহু অভিভাবক এখানে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার এই দৃশ্য দেখা যায় বুনিয়াদপুরের একলব্য আবাসিক বিদ্যালয়ে। এখানে পরিদর্শনে গিয়ে ছাত্রদের ক্লাস নিলেন সুকান্ত মজুমদার। রাজনীতিবিদের আবরণ থেকে সরে এসে তিনি হয়ে উঠলেন সুকান্ত স্যার। নিজে যে একজন অধ্যাপক সেটা পড়াশোনার মধ্য দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। আর তাই বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাদান শুরু করলেন বালুরঘাটের সাংসদ। একলব্য স্কুলের পরিকাঠামো, পঠনপাঠন পড়ুয়াদের পড়াশোনার গতিপ্রকৃতি সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাঁথিতে গিয়ে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করবেন রাজ্যপাল, শুভেন্দুর ভাইয়ের পুজো ঘিরে তরজা
লোকসভা নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর অনেকদিন নিজের জেলায় আসেননি সুকান্ত মজুমদার। এবার বালুরঘাটের কর্মসূচি সেরে সাংসদ আসেন বংশীহারীতে। একলব্য স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অনেকটা সময় কথাও বলেন। নিজের পছন্দের বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। তারপর সালোকসংশ্লেষ নিয়ে প্রায় ২০ মিনিট পড়ুয়াদের ক্লাস নেন। যেখানে বিষয়টি বোঝান পড়ুয়াদের সুকান্ত। মন দিয়ে বিষয়টি শোনেন পড়ুয়ারা। সুকান্ত মজুমদার এই ক্লাস নেওয়ার পর হয়ে যান সুকান্ত স্যার। যা শুনে আনন্দিত হন সাংসদ নিজেই।
বুনিয়াদপুরের একলব্য আবাসিক বিদ্যালয়ের স্মার্টবোর্ড ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষের রাসায়নিক বিক্রিয়া কেমন করে হয় সেটাও ব্যখ্যা করেন। আসলে বোটানিতেই দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার। আর এবার তাঁর প্রিয় বিষয়ে ক্লাস নিতে পেরে স্বভাবতই খুশি তিনি। আর তাই তো সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি রাজনীতিবিদের আগে একজন শিক্ষক। আজ ক্লাস নিতে পেরে আমার খুবই ভাল লাগছে।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ক্লাস করতে পেরে খুশি স্কুলের পড়ুয়ারাও। তারাও বাধ্য ছাত্রের মতো সুকান্ত স্যারের করা নানা প্রশ্নের উত্তর যেমন দেয় তেমনই শিক্ষকের বলা নোট খাতায় লিখতে দেখা যায়।