অন্ডাল বিমানবন্দরে পৌঁছলেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁর বিমান পৌঁছয় অন্ডাল বিমানবন্দরে। ঢাক বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানালেন রাহুল সিনহা। এখান থেকে তিনি যাবেন জগদানন্দপুরে রাজ্য পুরাতত্ত্ব বিভাগ অধিগৃহীত রাধাগোবিন্দ মন্দিরে। সেখানে রয়েছেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় প্রমুখ।
ডায়মন্ড হারবারের শিরাকোলে নড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনার পুনর্রাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য ইতিমধ্যে নিরাপত্তা আর সুরক্ষা বলয়ে বর্ধমান শহরকে বেঁধে ফেলছে জেলা পুলিশ। এদিন তিনি রাধাগোবিন্জ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর যাবেন মুস্থুলসি গ্রামে। সেখানে এক কৃষকের বাড়িতে সারবেন মধ্যাহ্নভোজ। সেই বাড়ি–সহ বেশ কয়েকজন কৃষকের বাড়ি থেকে ধান ও আনাজ সংগ্রহ করবেন তিনি।
এছাড়া এদিনই বর্ধমান শহরে রোড–শো রয়েছে তাঁর। তার আগে কাটোয়ার মুস্থুলি গ্রামে তিনি সভা করবেন। এই সভাস্থল এবং বর্ধমান শহরের যে রুটে রোড–শো তা ইতিমধ্যে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছে পুলিশ। গোটা দিনের ঠাসা কর্মসূচি সেরে হেলিকপ্টারে করে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে জে পি নড্ডার। তার জন্য কাটোয়ার জগদানন্দপুর ও বর্ধমানের বামচাঁদাইতলায় হেলিপ্যাড করা হয়েছে, সেখানে থাকছে সিসি ক্যামেরার নজর।
ডায়মন্ড হারবারের কনভয়–কাণ্ডের কথা মাথায় রেখে এবার অনেকটাই সচেতন রাজ্য পুলিশ। এই কর্মসূচির আগে থেকেই যে বাড়িগুলি বা মন্দিরে জে পি নড্ডা যাবেন সেখানে কারা কারা থাকবে সেই তালিকা চাওয়া হয়েছে বিজেপি–র কাছে। পাশাপাশি ভিড় যাতে বেশি না হয় সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান ও কাটোয়া দু’টি জায়গাতেই এসপি পদমর্যাদার কর্তারা দায়িত্বে থাকবেন। তাঁদের নীচে থাকবেন ৪ জন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি)। বর্ধমান শহরের রোড–শো সামলাবেন ১২ জন ডিএসপি আর কাটোয়ার ক্ষেত্রে ৮ জন ডিএসপি থাকবেন।
উল্লেখ্য, রবিবারই এই বিজেপি–র রোড–শোয়ের পাল্টা সভা করার কথা যুব তৃণমূলের। যার নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য যুব–র সহ সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। এ ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদারের দাবি, রবিবারের সভায় মানুষের ঢল নামবে। রাজ্য বিজেপি–কে মোকাবিলা করতে জেলা যুব তৃণমূলই যথেষ্ট।’