Dilip Ghosh: ঘনিষ্ঠ নেতাদের নিয়ে পিকনিকে মজলেন দিলীপ ঘোষ, চড়ুইভাতির রাজনীতিতে বিভক্ত বিজেপি

বিজেপির সবাইকে একযোগে কাজ করার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে ঘনিষ্ঠদের নিয়ে এই চড়ুইভাতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আবার ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। সেখানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে এমন বিভক্ত ছবি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে।

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দ্বিধাবিভক্ত বঙ্গ–বিজেপি। এবার এই ছবিটা সামনে নিয়ে এলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই চরম বাস্তব। একুশের শীতে চড়ুইভাতি রাজনীতি নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছিল। কখনও নহাটায়, কখনও গোবরডাঙায়, তো আবার কখনও ঠাকুরনগরে এমন ছবি দেখা গিয়েছিল। তখন বিজেপির রাজ্য এবং জেলা কমিটিতে মতুয়াদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আর তারপরই হয়েছিল চড়ুইভাতি। এবার ২০২২ সালের শীতেও সেই চড়ুইভাতির রাজনীতি অব্যাহত রইল। নিজের ঘনিষ্ঠ নেতাদের নিয়ে পিকনিক করার অভিযোগ উঠল দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।

কারা ছিল দিলীপের চড়ুইভাতিতে?‌ এই চড়ুইভাতিতে কৌশলে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যিনি রোজ প্রাতঃভ্রমণে সংবাদমধ্যমের মুখোমুখি হন তিনিই সোমবার নীরবে শীতের চড়ুইভাতি করলেন। দিলীপ ঘোষ–সহ তাঁর ঘনিষ্ঠরা বারুইপুরে এক পরিচিতের বাড়িতে এই চড়ুইভাতি করেন। সেখানে দিলীপ ঘোষের সময়ের রাজ্যের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন ঘোষ–সহ যুবক ও মহিলা মোর্চার একাধিক দিলীপ ঘনিষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মাছ ধরা, আড্ডা দেওয়া থেকে শুরু করে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা।

কী ছিল চড়ুইভাতির মেনুতে?‌ জানা গিয়েছে, চড়ুইভাতির মেনুতে ছিল এলাহি আয়োজন। তবে খাঁটি বাঙালি মেনু। বাসমতির ভাত, ডাল, তোপসে মাছ ভাজা, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, কাতলা মাছের কালিয়া, কাঁকড়া, দই এবং মিষ্টিতে রস–মালাই, নলেন গুঁড়ের সন্দেশ। এদিকে বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আবার ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। সেখানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে এমন বিভক্ত ছবি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে।

কেন এমন করলেন দিলীপ?‌ এই চড়ুইভাতির খবর প্রকাশ্যে আসতেই চলে খোঁজখবর। এই নিয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দিলীপ ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, ‘‌দিলীপদা ছাড়া বঙ্গ–বিজেপিকে কেউ নিজের পায়ে দাঁড় করাতে পারবেন না। এটা কেন্দ্রীয় নেতারাও বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। আর দিলীপদা ছাড়া ওরা সাফল্য এনে দেখাক না। এই চড়ুইভাতি দলের স্বার্থেই করা হয়েছে। যখন দায়িত্বপ্রাপ্তরা ব্যর্থ হবে তখন তো দিলীপদার কাছেই আসতে হবে। তাই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হল। সঙ্গে আনন্দ তো আছেই।’‌ বিজেপির সবাইকে একযোগে কাজ করার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে ঘনিষ্ঠদের নিয়ে এই চড়ুইভাতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।