রাজ্য নির্বাচন কমিশন কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিলেই চার পুরসভায় নির্বাচনের দিনক্ষণে সিলমোহর পড়বে। ২২ জানুয়ারি স্থির হয়ে যাবে চার পুরসভার নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ। এই পরিস্থিতিতে জোরদার প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। অনলাইন এবং অফলাইনে প্রচার চলছে। বুধবার সকালে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দেখা গেল আসানসোলে পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে দিলীপ ঘোষকে। আর এখানে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন।
সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘ব্যক্তিগত মত’ প্রকাশ করে বলেছেন, রাজ্যে করোনাভাইরাস বাড়ছে। তাই কোনওরকম উৎসব–অনুষ্ঠান, মেলা–জমায়েত–নির্বাচন হওয়া উচিত নয়। মানুষ বাঁচলেই আমরা বাঁচব। এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত বলেই তিনি জানিয়েছেন। এই নিয়েই আবার আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি। ঠিক কী বলেছেন তিনি? এদিন তিনি বলেন, ‘যতসব চালাকির রাজনীতি! চালাকির রাজনীতি চলছে এখানে। অভিষেকবাবু তাঁর ব্যক্তিগত মতপ্রকাশ করে বলছেন ভোট হওয়া উচিত নয়, আর তাঁর পিসি ভোট করাচ্ছেন। আসলে লোকের মনও রাখবেন! আর ভোটও খোয়াবেন না! ফাঁকতালে কারচুপি করে ভোট করাতে হবে।’
কিছুদিন আগেই দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ছিল, ‘এতদিন ভোট করানো গেল না। ধাপে ধাপে ভোট করা হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে কেন রাজ্যের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোট একেবারে করা গেল না? বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসই কোভিড বাড়ছে বলে চিৎকার জুড়েছিল। এখন সত্যিই বাড়ছে। তখন ভোট কেন আগে মেটানো হচ্ছে না? তাহলে তো আর ভোট লুঠ করা যাবে না!’
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘নির্বাচন দিলীপ ঘোষ বা বিজেপির কথায় হবে না। হবে নির্বাচন কমিশনের কথায়। তাই কমিশন ও আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত।’ যদিও কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা দিয়ে চার পুরসভার নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে বলেছে। আপাতত এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জানুয়ারি। সেদিনই নির্বাচন কমিশনকে গোটা বিষয়টি জানাতে হবে আদালতকে।