কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে বর্ধমানের পুরপ্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। আর এই ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে বিতর্ক তৈরি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এই ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা চাইছিলাম সেটাই হল। অনেকদিন ধরে চাইছিলাম সিবিআই অ্যাক্টিভ হোক। তারা ঠিকমতো তথ্য পাচ্ছিল না। কাজ করতে পারছিল না। এবার পারবে। পশ্চিমবঙ্গে যে এত বড় বড় দুর্নীতি হয়েছে বিশেষ করে ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি। যার জন্য লাখ লাখ লোক সর্বস্বান্ত হয়েছে। তাই সিবিআইয়ের দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত, দোষীদের আদালতে পেশ করা উচিত।’
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ তোলা হয়েছিল, রাজ্য সরকারের বদনাম করতে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি–সিবিআইকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার জন্য দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (প্রয়াত), ফিরহাদ হাকিম এবং এক বিধায়ক মদন মিত্রকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। যদিও পরে তাঁরা জামিনে ছাড়া পান। এবার বর্ধমানের পুরপ্রশাসককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সেখানে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে বিতর্ক তৈরি করেছে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির ‘আমরা যেটা চাইছিলাম সেটাই হল’, বা ‘অনেকদিন ধরে চাইছিলাম অ্যাক্টিভ হোক’, মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগকেই সিলমোহর দিচ্ছে। তাই রাজ্য–রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কী কেন্দ্রীয় সংস্থা বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলছে? চিটফান্ড কাণ্ডে কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রণববাবু। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই গ্রেফতার কতটা যুক্তিযুক্ত? আদৌ কোনও সত্যতা আছে অভিযোগের?
উল্লেখ্য, শুক্রবার বর্ধমানে প্রণববাবুর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। আবার বর্ধমানেরই ঢলদীঘির একটি বহুতল আবাসনে তদন্তে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা। ওই বহুতল আবাসনেই ছিল সানমার্গের অফিস। সেই অফিস ভাড়া দিয়েছিলেন পুরপ্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায় বলে অভিযোগ। তিনি পুরপ্রশাসক এবং বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।