বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Dilip Ghosh: ‘‌গরিবের পেটেও লাথি মেরে চাকরি নিচ্ছে ওরা’‌, সুকন্যা ইস্যুতে সরব দিলীপ ঘোষ

Dilip Ghosh: ‘‌গরিবের পেটেও লাথি মেরে চাকরি নিচ্ছে ওরা’‌, সুকন্যা ইস্যুতে সরব দিলীপ ঘোষ

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

অনুব্রত মণ্ডলের প্রায় ১৭ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। আবার মেয়ের চাকরিতেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছেন তাঁর ৬ জন আত্মীয়। সবাইকে ডেকে পাঠানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে নথি পেশ খএ ফ্ণআণ করতে হবে উদ্ভূত অভিযোগগুলি মিথ্যা। এখন দেখার জল কোনদিকে গড়ায়।

অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এখন তাঁর মেয়ের চাকরি দুর্নীতি করেই মিলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজিরা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার এই বিষয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জামুড়িয়ায় পুরসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি কটাক্ষ করেন।

ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?‌ এদিন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ ঘটনাটি নিয়ে বলেন, ‘‌অনুব্রতর মেয়ে টেট পরীক্ষায় পাশ না করেও চাকরি পেয়েছে। একটা গরিব ছেলে বা মেয়ের পেটে লাথি মেরে ২০ হাজার ৩০ হাজার টাকাও নিয়ে নিচ্ছে ওরা। নিজে দুটো কোম্পানির মালিক। তার বাবা ৫০০ কোটি টাকার মালিক। আবার ১৭ কোটি টাকা ধরা পড়েছে। টাকার খনি হয়ে গিয়েছে, কয়লা খনির মতো। ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে টাকা রাখার জন্য। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া উচিত। এই ধরণের নেতারা রাজনীতির কলঙ্ক। বাংলার কলঙ্ক। ভারতীয় জনতা পার্টি এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আগামী দিনেও করবে।’‌

কেন এমন মন্তব্য করলেন তিনি?‌ জানা গিয়েছে, বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই গ্রেফতার হওয়া নিয়ে তাঁরা সোচ্চার হবেন। এই ইস্যুকে পুরোদস্তুর কাজে লাগিয়ে জনমত তাঁদের দিকে ফিরিয়ে আনবেন। তাই পার্থ এবং অনুব্রত ইস্যুই এখন সব ক্ষেত্রে অস্ত্র হিসাবে কাজ করবে। আসানসোল পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে পুরসভা উপনির্বাচন। ২১ অগস্ট রয়েছে ভোট। মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে ভোট জিতিয়ে আনার জন্য এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। বিজেপি প্রার্থী ত্রিদীব চক্রর্বতীর হয়ে প্রচারে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ইস্যুকে সামনে রেখেই সোচ্চার হয়েছেন।

উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের প্রায় ১৭ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। আবার মেয়ের চাকরিতেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছেন তাঁর ৬ জন আত্মীয়। সবাইকে ডেকে পাঠানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে নথি পেশ খএ ফ্ণআণ করতে হবে উদ্ভূত অভিযোগগুলি মিথ্যা। এখন দেখার জল কোনদিকে গড়ায়।

বন্ধ করুন