রঙের উৎসব দোল। আর সেদিনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ, শুক্রবার মেদিনীপুরে প্রাতঃভ্রমণ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি হাওড়া থেকে ধরা পড়া জঙ্গি আমিরুদ্দিন প্রসঙ্গে জানান, গোটা রাজ্যে এমন নানা জঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ–সরকারের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।
ঠিক কী বলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ? শুক্রবার তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সারা পশ্চিমবাংলায় সিমি, জামাত, আল–কায়েদা জঙ্গিরা ছড়িয়ে রয়েছে। অনেকগুলি এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে তারা মাদ্রাসাতে পড়াচ্ছে। মাদ্রাসাগুলি এই জন্য খোলা হয়েছে নাকি মাদ্রাসার লোকেরা এগুলি জানেন না? মাদ্রাসাকে আশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সরকারের চোখের সামনে এইসব ঘটেছে। পুলিশের ক্ষমতা বাড়ানো উচিত।’
উল্লেখ্য, আমিরুদ্দিন আনসারি জঙ্গিকে ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর আমিরুদ্দিনের মোবাইল থেকে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, মোবাইল ফোন থেকে বেশ কিছু জেহাদি বই পাওয়া গিয়েছে। হাওড়ার বাঁকড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হাওড়ার বিষয় নিয়েই রাজ্য সরকা কেও একহাত নেন দিলীপ ঘোষ।
এদিন সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এখানের পুলিশের দায়িত্ব বেশি, পুলিশের ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। পুলিশের আধুনিক সমস্ত যন্ত্রপাতি দেওয়া প্রয়োজন। শুধু আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে বিরোধীদের ফোন ট্যাপ করবে, পুলিশকে বিরোধীদের পিছনে লাগিয়ে দেবে, পুলিশকে বিজেপির পিছনে লাগিয়ে দেবে তাহলে এরকম গতিবিধি আরও বাড়বে।’