চার পুরসভার নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। শনিবার চিঠি দেয় নবান্ন। সেখানে পিছিয়ে দিলে আপত্তি নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? শনিবার প্রচারে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘জল খাবে, কিন্তু ঘোলা করে খাবে। কে খাবে আমরা তা সবাই জানি। মানুষের চিন্তা নেই, রাজনীতির আর নির্বাচনের চিন্তা। আজকে আদালতের থাপ্পড় খেয়ে নির্বাচন পিছোতে বাধ্য হচ্ছে। আমরা এখনও বলছি নির্বাচন পিছিয়ে দিন। পশ্চিমবঙ্গ এখন করোনাভাইরাসে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু সরকারের মাথায় ঢুকেছে ক্ষমতা দখল করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে চালাচ্ছে। আদালত পরিস্থিতি বুঝেই রায় দিয়েছে।’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পুরসভার নির্বাচন পিছিয়ে দিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেখানে চার থেকে ছয় সপ্তাহ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা নির্বাচন কমিশনকে দেখতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছিল। ২২ জানুয়ারি চার পুরসভা—আসানসোল, চন্দননগর, বিধাননগর এবং শিলিগুড়িতে ভোটের দিন ঠিক হয়। যদিও তা পিছিয়ে গেল।
পুরসভা নির্বাচন পিছিয়ে দেওযা নিয়ে সিপিআইএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা তো ঘটতই। এটা না করলে তো নিজেদের মুখ রক্ষা হবে না। তাই চিঠি দিয়েছে।’ আর অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমি বলেছি এই ভোট নির্ভর করছে রাজ্যের উপরে। রাজ্য মনে করলে ভোট করতে পারে। রাজ্য মনে করলে ভোট না করাতে পারে। মাঝখান থেকে নির্বাচন কমিশনকে এগিয়ে দিয়ে বলি পাঁঠা করার কোনও মানেই নেই।’