শনিবারই শনির দশা দেখা গিয়েছে বিজেপিতে। ৩০টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে অপসারণ করা হয়। আর তাতেই দলের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট করে গিয়েছেন বিধায়ক থেকে জেলার শীর্ষ নেতারা। এই নিয়ে এখন তোলপাড় বঙ্গ–বিজেপির অন্দরে। তবে এসব ঘটনাকে গুরুত্বই দিতে চাইছেন না বিজেপি সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এই নিয়ে কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকদিন কতজন গ্রুপ থেকে চলে যায়, কতজন ঢোকে। এটা কোনও বড় ব্যাপার নয়। গ্রুপ ছাড়াটা কোনও খবর হতে পারে না। কত লোক প্রতিদিন কত গ্রুপে ঢুকেছে, কত গ্রুপ থেকে বেরচ্ছে। পার্টির ব্যাপারে সবাই একমত হবে না। পার্টির ব্যাপারে কারও কিছু বলার থাকলে সেটা ঠিক জায়গায় বলা উচিত। পার্টির ভিতরে।’
উল্লেখ্য, বিজেপির একাধিক গ্রুপ রয়েছে। সাংসদদের গ্রুপ, বিধায়কদের গ্রুপ, জেলা সভাপতিদের গ্রুপ–সহ আরও একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। যা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সায়ন্তন বসু থেকে গ্রুপ ছাড়া শুরু হয়। তারপর একে একে অশোক কীর্তনিয়া, মুকুটমণি অধিকারী, সুব্রত ঠাকুর, অসীম সরকার এবং অম্বিকা রায়—এই বিজেপি বিধায়করাও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট করেছেন নিজেদেরকে। শীলভদ্র দত্ত এবং রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও রয়েছেন।
এই বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে। রবিবার খড়গপুরে চা–চক্রে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নেতৃত্বের ক্ষোভ নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি। তবে দিলীপ ঘোষ এই বিষয়টিকে পাত্তা না দিলেও যাঁরা এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অভিযোগ জানাবেন বলে সূত্রের খবর।