মা কালীকে নিয়ে মন্তব্যের জের। সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বীরভূমের তারাপীঠে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো বিজেপির যুব মোর্চা। সেই সঙ্গে কুশপুতুল দাহ করা হল তৃণমূল সাংসদের। অবরোধের জেরে রামপুরহাট–সাঁইথিয়া রুটে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে তারাপীঠ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবরোধ তুলে দেয়।
এদিন তারাপীঠে বিজেপির যুব মোর্চার তরফে জানানো হয়, ‘কৃষ্ণনগরের সাংসদ যেভাবে মা কালীকে অপমান করেছে, তাতে হিন্দু সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে গিয়েছে। এটা বরাবরই তৃণমূলের নেতা–নেত্রীরা করে আসছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা জানতে চাইছি, ওনার অবস্থান কী। উনি স্পষ্টভাবে বলুন। মহুয়া মৈত্র যে কথা বলেছেন, সেটা আপনি সমর্থন করেন কিনা, স্পষ্ট করে জানান। মহুয়া মৈত্র যে ভাষায় মা কালীকে অপমান করেছে, সেটা হিন্দু সমাজ কোনওভাবে বরদাস্ত করে না।’ এদিন বিজেপি যুব মোর্চার তরফ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধের হুশিয়ারি দেওয়া হয়। আগামীদিনে এই আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপির যুব মোর্চার নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, মহুয়া মৈত্রকে কঠোরতর শাস্তি দিতে হবে ও তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এদিনের অবরোধে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির পুরলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, যুবমোর্চার বীরভূম জেলা সভাপতি অনুপ কুমার মাল-সহ বিজেপি যুবমোর্চার কর্মী ও সমর্থকরা।
ইতিমধ্যে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মা কালী নিয়ে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে মা কালী নিয়ে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির তরফে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। বিজেপির মহিলা মোর্চার তরফেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। কিন্তু এতকিছুর পরও মহুয়া মৈত্র তাঁর নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। তাঁর মতে, বিজেপি যা করার করে নিক, কিন্তু তিনি তাঁর অবস্থান থেকে সরবেন না।