মতুয়া সম্প্রদায়ের পুরো ভোটব্যাঙ্ক যাতে গেরুয়া শিবিরে এসে পড়ে তার জন্য বনগাঁকে আলাদা সাংগঠনিক জেলা হিসেবে ঘোষণা করল বিজেপি’র রাজ্য নেতৃত্ব। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নামও ঘোষণা করা হয়েছে। সভাপতি হয়েছেন বিজেপি নেতা মনস্পতি দেব। তিনি বনগাঁর বিজেপি’র সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আর এভাবেই শান্তনুর ক্ষোভ প্রশমন করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। এতদিন বনগাঁ মহকুমা ছিল দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার মধ্যে।
সম্প্রতি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছিল না। নাগরিকত্ব আইন কার্যকর না হওয়া নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর অম্ল–মধুর সম্পর্ক তৈরি হচ্ছিল। তাই শান্তনু দলীয় কর্মসূচি এড়িয়ে চলছিলেন। শান্তনুর দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ঠাকুরনগরে এসে নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ নিয়ে তাঁর মতামত জানাতে হবে। কয়েকদিন আগে শান্তনুর সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানে তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয় ১৯ বা ২০ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঠাকুরবাড়িতে এসে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তাঁর মতামত জানাবেন। তারপরই রাজ্য নেতৃত্ব বনগাঁকে আলাদা সাংগঠনিক জেলা হিসেবে ঘোষণা করে।
বিজেপি সূত্রে খবর, শান্তনুর দাবি মেনেই নতুন সাংগঠনিক জেলা করা হয়েছে। আর তাঁর ক্ষোভ প্রশমন করতেই ঠাকুরনগরের বাসিন্দা মনস্পতিকে সভাপতি করা হয়েছে। মনস্পতি বলেন, ‘আমার লক্ষ্য দলকে শক্তিশালী করে কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।’ এবার এখানে ৩০ জানুয়ারি আসছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে তিনি নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বক্তব্য রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই হবে তুরুপের তাস।