বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার পর বলেছিলেন, এতো সবে শুরু। দেখুন না কি হয়। এই মন্তব্যের বেশিদিন কাটল না। আবার বিজেপিতে ভাঙন ধরল সপ্তাহের শুরুতেই। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন গাইঘাটার পঞ্চায়েত সদস্য–সহ যুব মোর্চার সভাপতি। জেলায় জেলায় এমন ভাঙনে কপালে ভাঁজ পড়েছে গেরুয়া শিবিরের। গুজরাত–উত্তরাখণ্ডের মতো এখানেও অন্তর্দ্বন্দ্বই ভাঙনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান দলত্যাগীরা।
ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগণার টিটাগড়ে বড় ধরনের ভাঙন দেখা গিয়েছে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফুলসারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা অনুশ্রী দাস সাহা ও চাঁদপাড়া বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি–সহ প্রায় ৫০০ জন কর্মী–সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, বিজেপির সংগঠনের নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের একটা ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। তার ফলে জেলায় জেলায় প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। সুতরাং জেলায় কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানান দলত্যাগীরা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প পথ তাঁদের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন।
এভাবে সংগঠন ভেঙে পড়ছে কেন? জবাবে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, ‘রাজ্য জুড়ে তালিবানি শাসন চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে ধমকানি, চমকানি এবং আমাদের কর্মকর্তাদের দলবদল করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে তাঁরা দল ছাড়ছেন।’