বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই বহু নেতা-কর্মী দল বদলে শাসক দলে নাম লেখাতে ব্যস্ত হয়েছেন। ফুল বদলের এই হিড়িক শীর্ষ স্তর থেকে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত দেখা গিয়েছে। সেই রেশ ধরেই এবার জুবরাজপুরের বিজেপি কার্যালয় ভোল পালটে হয়ে গেল তৃণমূলের কার্যালয়। না, অফিস দলবদল করবে কী করে! তবে দল বদলেছেন সেই অফিসের মালিক। আর তাঁর দরুণ একদিন আগে পর্যন্ত যে অফিসের দেয়ালে পদ্ম আঁকা ছিল, তাতে আজ আঁকা হল ঘাসফুল।
জানা গিয়েছে, দুবরাজপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন দিলীপ হাজরা। নিজের বাড়িতে গেরুয়া শিবিরের জন্যে নির্বাচনী কার্যালয় তৈরি করেছিলেন দিলীপবাবু। তবে ভোটের ফলপ্রকাশের পর এলাকার বহু বিজেপি কর্মী নাম লেখান তৃণমূলে। সেই পথে হেঁটে সেই অফিস ঘরের মালিক দিলীপবাবুও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আর এরপরই নিজের সেই অফিস ঘরটি তৃণমূলের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন। রং পালটায় অফিসের দেয়ালের।
দল বদল করা প্রাক্তন বিজেপি কর্মী এই প্রসঙ্গে জানান, উন্নয়নের পথে শরিক হতেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে এর আগে মাথা মুড়িয়ে তৃণমূলে ফেরার ঘটনা ঘটেছে এই বীরভূমেই। বীরভূমের ইলামবাজারে স্যানিটাইজ করে বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। এছাড়া বীরভূমের লাভপুরে শতাধিক বিজেপি কর্মী, সমর্থক যোগ দেন তৃণমূলে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমাদের সবার নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে এবং নির্দেশ মেনে যাঁরা নির্বাচনের পর আমাদের দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তাঁদের আমরা দলে নিয়েছি। এই কার্যালয়টি যাঁর বাড়িতে ছিল, তিনি বিজেপি কর্মী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এবং আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি ছেড়ে আমাদের দলে চলে আসেন। তিনি আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় দুবরাজপুরের এই কার্যালয়টিকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে রূপান্তরিত করা হয়েছে।'