বিহার নির্বাচন শেষ। আর উৎসব সমাপ্ত। তাই এবার পাখির চোখ বাংলা। বিজেপি এখন থেকেই ঠিক করেছে ২০২১ সালে বঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ঝাঁপাবে। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের সংগঠনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নজর রাখবে রাজ্য নেতৃত্বের কাজের উপর। তাছাড়া কোন পথে এগিয়ে যাওয়া হবে, ব্লক থেকে রাজ্যব্যাপী প্রচার অভিযান কী হবে, নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজির ক্ষেত্রে নীল নকশা কীভাবে সাজানো হবে, তার সবকিছুতেই এবার নজর রাখবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এবারের লড়াইয়ের প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস। তাই দলের নেতারা এবার সর্বশক্তি দিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যতদিন যাবে তত প্রচার–কর্মসূচির ধার বাড়বে বলে খবর। বিজেপির তরফে আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে সহকারি ইনচার্জ করা হয়েছে। সোমবার তিনি কলকাতায় চলে এসেছেন। বাংলার নির্বাচন নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়বেন। সেখান থেকেই প্রথম প্রচার শুরু হয়ে যাবে। তারপর একে একে রাজ্য নেতারা মাঠে–ময়দানে নামবে।
এদিকে আজ (মঙ্গলবার) বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ কলকাতায় চলে আসছেন। এই বিষয়ে বিজেপ’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বাংলার দু-তিনটে নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ার নেতৃত্বে তিনি কাজ করেছিলেন। ফলে বাংলার বিষয়গুলি সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। আর সন্তোষ কিছু বৈঠক করবেন দলকে শক্তিশালী করবেন।’ নভেম্বরের গোড়ার দিকে বাংলা সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। তিনি কিছু পরামর্শ এবং নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। এখান সেগুলি কার্যকর করতে হবে বলে খবর।
অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি বাংলাকে গুজরাত বানাতে চায়। আজ তা স্বীকার করে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এটা ১০০ শতাংশ সত্য। আমরা বাংলাকে গুজরাট বানাতে চাই। কারণ এখন বাংলার মানুষকে কাজের জন্য গুজরাতে যেতে হয়। আগামী দিনে তা আর করতে হবে না।’ এই বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশে মূল সমস্যা হল পুলিশের এনকাউন্টার। ২,০০০ মানুষ সেখানে খুন হয়েছেন। ন্যানো কারখানাও সেখানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ইশরাত জাহান খুনের ঘটনা সবাই দেখেছেন। তাই আমরা বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না।’