দু’দিনের সফরে বাংলায় এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। বুধবার হুগলির চুঁচুড়ায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত বন্দেমাতরম ভবনে এসে তাঁর মন্তব্য, বাংলার সঙ্গে গোটা দেশকে দিশা দেখিয়েছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। সাহিত্যসম্রাটের স্মৃতি বিজড়িত ভবনে এসে গর্বিতবোধ করছেন বলেও জানান নড্ডা।
ঠিক কী বলেছেন জেপি নড্ডা? এদিন সাহিত্যসম্রাটের মূর্তিতে মাল্যদান করে তিনি বলেন, ‘আজ ভারতের মহান বিভূতির কর্মস্থানে এসেছি। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এখানে তাঁর কর্মজীবনের পাঁচ বছর কাটিয়েছেন। আমি আজ এই জায়গায় এসে নিজে গর্বিতবোধ করছি। তিনি বাংলা সাহিত্যের পথপ্রদর্শক। এখানে এসে বাংলার সংস্কৃতির দর্শন করার সৌভাগ্য পাচ্ছি। উনি গোটা দেশকে দিশা দেখিয়েছেন। প্রেরণা দিয়েছেন। তাঁর থেকেই আমি প্রেরণা নিই।’
আর কী বললেন নড্ডা? এখানে এসে তিনি গোটা বাড়িটি ঘুরে দেখেন। তারপর মূর্তিতে মাল্যদান করেন। চুঁচুড়ায় বন্দেমাতরম ভবনে বসেই জাতীয় সঙ্গীত রচনা করেছিলেন সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘এখান থেকেই ইতিহাস রচনা করেছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। আজ আমি ঐতিহাসিক গর্বের জায়গায় এসেছি। এখানে এসে আমি গর্বিত। বন্দেমাতরম আমাদের দেশের স্বাধীনতার মন্ত্র হয়ে গিয়েছে।’
কী বার্তা দিলেন তিনি? বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতাদর্শ নিয়ে দেশকে এগিয়ে চলার বার্তাও দিয়েছেন নড্ডা। তিনি বলেন, ‘বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতাদর্শ ও ঐতিহ্য বজায় থাকবে। তাঁর মতাদর্শ নিয়েই গোটা দেশকে সমৃদ্ধ করার কাজ হবে।’ তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।