রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর আমলে সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি দ্বীপে বাংলাদেশ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭৯ সালে। এখন সেই ঘটনার ৪ দশক কেটে যাওয়ার পর মরিচঝাঁপি কাণ্ডকে হাতিয়ার করে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। দলের অন্দরের কোন্দল বিদ্রোহে এখন যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি। তারই মাঝে ৪ দশক আগেকার ঘটনাকে খুঁচিয়ে তোলায় বিজেপিকে কার্যত কটাক্ষ করেছে তৃণমূল থেকে শুরু করে সিপিএম।
এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, 'দলের অন্দরের বিদ্রোহে বিজেপি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দলের বিদ্রোহ থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই বিজেপি এসব করছে।' এ নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি সিপিএম। দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বিজেপিকে বিঁধে বলেন, 'বিজেপি এতদিন ধরে কি করছিল? ওদের জন্যই তো তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে।'
যদিও এ বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, 'বিজেপির নীতিগত অবস্থানই হল ছিন্নমূল মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া। মরিচঝাঁপিতে ওপার বাংলা থেকে আসা ছিন্নমূল মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। মানুষ যেন সেই ঘটনা কখনও ভুলে না যায়।'
উল্লেখ্য, আজ সোমবার মরিচঝাঁপিতে মৌন মিছিল করেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, দলের তপশিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতি সুদীপ দাস প্রমুখ। মৌন মিছিল করার পর কুমিরমারিতে সভা করে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে বিচার দেওয়া হয়নি।