আজ, বৃহস্পতিবার হাওড়ার বাগনানে বিজেপির ডাকে ১২ ঘণ্টার বনধ চলছে। কারণ দলীয় কর্মী কিঙ্কর মাঝি খুনের প্রতিবাদে এই বন্ধ ডাকা হয়েছে। বুধবারই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। বিজেপি’র অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে খুন করা হয়েছে কিঙ্কর মাঝিকে। অভিযোগের আঙুল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে ১২ ঘন্টার বনধে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
গত ২৪ অক্টোবর বাড়ির কাছেই দুষ্কৃতীর গুলিতে নিহত হন কিঙ্কর মাঝি। বিজেপি কিঙ্করকে দলীয় কর্মী হিসেবে দাবি করে জানায়, শাসকদলের লোকজন রাজনৈতিক কারণে কিঙ্করকে খুন করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন হয়েছেন কিঙ্কর মাঝি। এই পরিস্থিতিতে এলাকার সব দোকান–পাট বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তায় নামানো হয়েছে র্যাফ, জলকামান এবং বিশাল পুলিশবাহিনী।
এই খুনের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগসূত্রের বিষয়টি পুলিশ মানেনি। এই খুনের ঘটনায় দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরজন ফেরার। পুলিশ দ্বিতীয় জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত বিজেপি কর্মীর ফুলের ব্যবসা ছিল। বিজেপির অভিযোগ, বাগনানে দলের প্রভাব বাড়ছে। তাই তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা কিঙ্কর মাঝিকে গুলি করে খুন করেছে। এই খুনের প্রতিবাদে বাগনানের মনসাতলা এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে লোকাল বিজেপি কর্মীরা এনএইচ–১৬ অবরোধ করেন। উলুবেড়িয়ার এসডিপিওর হস্তক্ষেপে জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত করা হয়। হাওড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রানা মুখার্জি জানান, ‘এখানে বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি। জনজীবন বিপর্যস্ত করার চেষ্টা কেউ করলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে।’
এদিন হাওড়া গ্রামীণের বিজেপি জেলা সভাপতি শিবশংকর বেজের নেতৃত্বে বাগনান থানার সামনেও গেরুয়া কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কার্যত গেট ভেঙে ফেলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আগুন জ্বালিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কিঙ্করের বাড়ি যাওয়ার পথে সৌমিত্র খাঁকে আটকায় পুলিশ। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানান, দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে বিজেপি রাজ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে। পাল্টা বাগনানের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অরুণাভ সেনের অভিযোগ, বিজেপি রাজ্যে অশান্তি পাকাচ্ছে। মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই উনি খুন হয়েছেন। এই খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।