স্বাধীনতা দিবসের সকালে তৃণমূলি হামলায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর পর রবিবার ১২ ঘণ্টার খানাকুল বনধে থমথমে গোটা এলাকা। পুলিশি পাহারার মধ্যেই রাস্তায় জ্বলল টায়ার। এমনকী নতুন করে দুদলের সংঘর্ষের খবরও মিলেছে। শনিবারের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা তোলার সময় হুগলির খানাকুলের নতিবপুরে বিজেপি – তৃণমূল সংঘর্ষ বাঁধে। তৃণমূলের হামলায় মৃত্যু হয় সুদর্শন প্রামাণিক নামে এক বিজেপিকর্মীর। এর পর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূলের পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মীরা। এলাকায় একাধিক জায়গায় শুরু হয় পথ অবরোধ। ঘটনার জেরে রবিবার ১২ ঘণ্টার খানাকুল বনধ ডাকে বিজেপি।
বনধের জেরে এদিন খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকায় রাস্তা ছিল শুনশান। পথে দেখা পাওয়া যায়নি যানবাহনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। সকালে খানাকুলের রাস্তায় টায়ার জ্বলতে দেখা যায়।
এরই মধ্যে রাজা রামমোহন ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাকরি গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির ফের সংঘর্ষ বাঁধে। বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। কারও প্রাণ না গেলেও অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানেও চলছে পুলিশি টহল।
শনিবারের ঘটনায় খানাকুলের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ৬ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাদের আরামবাগ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।