এমনিতেই মণীশ শুক্লার খুন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার কাছে আক্রান্ত হলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো যায়। ভেঙে দেওয়া হয়েছে গাড়ির কাঁচ। রাস্তায় ফেলে শমীককে মারধর করা হয়। ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে বিজেপি।
মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবারে একটি সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন শমীক। চালক ছাড়াও তাঁর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন আরও কয়েকজন। বিজেপি নেতার দাবি, দুপুর তিনটে নাগাদ বিনা প্ররোচনায় ফলতায় স্রোতের পোলের কাছে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন কমপক্ষে ১৫০-২০০ জন। তাঁদের হাতে তরোয়াল, আগ্নেয়াস্ত্র, লোহার রড ছিল বলে দাবি করেছেন শমীক।
তাঁর অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরেই সবাইকে গাড়ি টেনেহিঁচড়ে বের করে মারধর করা হয়। বুকে-পেটে নির্বিচারে লাথি মারা হয়। রেহাই পাননি তাঁর সঙ্গীরাও। তাঁদের মারধর করা হয়। লুঠপাটও চালানো হয়। মোবাইল, টাকা-পয়সা কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শমীকের এক সঙ্গীর অভিযোগ, শুধু তাই নয়, শমীকের হাতের আংটিও খুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আংটি দিতে না চাইলে শমীকের আঙুলও কেটে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কোনওক্রম ভাঙা গাড়িতেই উঠে এলাকা থেকে চলে আসেন বলে দাবি তাঁদের।
তবে হামলায় শমীকের পায়ে চোট লেগেছে। তাঁর পায়ের এক্স-রে হতে পারে। জোকার কাছে একটি হাসপাতালে তিনি ভরতি হতে পারেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে রাতের দিকেই ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। শমীকের এক সঙ্গীর মাথায় চোট লেগেছে বলে খবর।
এদিকে হামলার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, রাজ্যের অবস্থা এতটাই খারাপ যে সাধারণ সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময়ও বিরোধীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী জানান, এখন যা হচ্ছে, সব তৃণমূলের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। শমীকের উপর হামলার ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নন বলে দাবি করেছেন তিনি।