একুশের নির্বাচনের মুখে বকেয়া পড়ে গিয়েছিল বিস্তারকদের বেতন। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর তা পাওয়া যাবে কিনা সংশয় তৈরি হয়েছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তা মেটাতে শুরু করে বিজেপি। তাও পুরো এখনও মেটানো সম্ভব হয়নি বলেই সূত্রের খবর। এমনকী সংগঠন বিস্তারের জন্য প্রতিটি জেলাতেই দামি মোটরবাইক পাঠিয়েছিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তাই এবার সেই দামি মোটরবাইকগুলি ফেরত চাইল রাজ্য নেতৃত্ব।
একুশের নির্বাচনের আগে এই বিস্তারকদের নিয়োগ করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি ফলাও করে প্রচার করার জন্য। একইসঙ্গে সংগঠন মজবুত করার জন্য। সেখানে রাজ্য দখল করতে পারলে এই মোটরবাইকগুলি জেলায় জেলায় রেখে দেওয়া হতো। কিন্তু তা আর হচ্ছে না। কারণ বিজেপির এক জেলার নেতা বলেন, ‘আমাদের ২০টি মোটরবাইক দেওয়া হয়েছিল। বিস্তারকরা সেগুলি ব্যবহার করতেন। তাঁরা স্থানীয় নেতাদের মোটরবাইকে করে এলাকায় নিয়ে যেতেন। কিন্তু তাঁরা চলে যাওয়ায় এখন আর মোটরবাইকের প্রয়োজন হচ্ছে না। তাই সেগুলি ফেরত চাওয়া হয়েছে।’
দলীয় সূত্রে খবর, প্রতিটি জেলাতেই বিজেপি নেতৃত্ব নির্বাচনে বিপর্যয়ের কারণ পর্যালোচনা করতে শুরু করেছে। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের নেতাদের কাছ থেকে জেলা নেতৃত্ব পরাজয়ের রিপোর্ট জানতে চাইছে। পরে এই রিপোর্ট রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে। তবে প্রাথমিতভাবে প্রার্থী বাছাই নিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ রয়েছে। পুরনো নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বিস্তারকরাও পুরনো নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলে অভিযোগ।
একুশের নির্বাচনের ফলাফল বিজেপি নেতৃত্বের সমস্ত হিসেব ওলট–পালট করে দিয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের এক নেতা বলেন, ‘রাজ্য নেতৃত্ব আর জেলাগুলিতে বেশি টাকা খরচ করতে চাইছে না। সব খরচ কাটছাঁট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। দামি মোটরবাইকগুলি চালানোর জন্য অনেক বেশি পেট্রোলের দরকার হয়। সেই অর্থ এখন আর রাজ্য নেতৃত্ব পাঠাতে চাইছে না। তাই ফেরতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’