আনলক পর্বে ডিসেম্বর মাস থেকে আদ্রা ডিভিশনে চলতে শুরু করেছে কিছু লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সেই ট্রেনের সংখ্যা অনেকটাই কম বলে অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। এই অবস্থায় বিতর্ক তৈরি করে দিলেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পুরুলিয়া শহরের সাহেববাঁধে প্রাতঃর্ভ্রমণে বেরিয়ে বাসিন্দাদের কাছে লোকাল ট্রেন নিয়ে অভিযোগ শুনতে হল বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। দিলীপবাবু তাঁদের আশ্বস্ত করলেও পরে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘পুরুলিয়ার মানুষজন লোকাল ট্রেনের উপরে ততটা নির্ভরশীল নন।’ তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিবাদে নেমেছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি। তাঁদের দাবি, বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি পুরুলিয়ার বাস্তব সমস্যা, মানুষজনের জীবনযাপন সম্পর্কে আদৌও ওয়াকিবহাল নন।
এদিকে রেল সূত্রে খবর, আদ্রা ডিভিশনে লকডাউনের আগে লোকাল ট্রেন চলত প্রায় ৫০টি। এখন ট্রেনের সংখ্যা বেড়ে লোকাল ও প্যাসেঞ্জার মিলিয়ে এই ডিভিশনে ১৬টি লোকাল চলছে। বাঁকুড়ার সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া থেকে পুরুলিয়ার জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো দাবি করেন, ‘দিলীপবাবু পুরুলিয়াকে মোটেই চেনেন না। তাই এমন কথা বলছেন।’
অন্যদিকে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে আন্দোলন করছে এসইউসি প্রভাবিত ‘নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ’। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বেসরকারি বাসের ভাড়া বেড়েছে কয়েকগুণ। সমস্ত লোকাল ট্রেন শুরু না হওয়ায় প্রচুর সমস্যার মধ্যে রয়েছেন বাসিন্দারা। পরে চাপে পড়ে দিলীপবাবু ব্যাখ্যা দেন, ‘সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে লোকাল ট্রেনের গুরুত্ব আছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক করছে। প্রতি মাসে ট্রেন বাড়ছে।’ সামনে বিধানসভা নির্বাচন বলে এভাবে নিজের ভুল শুধরে নিলেন তিনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।