একুশের নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। আর তার পর থেকেই দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন। এমনকী বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নেতা–কর্মীদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেই ছবিই ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। কারণ সেখানে দেখা গিয়েছে, রাজনীতির ময়দানে প্রতিপক্ষ কুণাল ঘোষের সঙ্গে কথা বলছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এমনকী বিরাটির ওই বিয়েবাড়িতে পাশাপাশি বসে এবং দাঁড়িয়ে ছবিও তুলেছেন। এবার এই ছবি নিয়েই বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে ফেসবুকে খোঁচা দিলেন দলের নানুরের মণ্ডল সভাপতি চন্দ্রচূড় ঘোষ।
আর এই খোঁচা প্রকাশ্যে চলে আসায় তা বিড়ম্বনার কারণ হযে দাঁড়িয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কাছে। দিলীপ ঘোষকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি লেখেন, ‘কর্মীরা এখন ঘরছাড়া, তাদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করুন। ভোজ তো পরেও খাওয়া যাবে।’ এই পোষ্টের প্রেক্ষিতে একের পর এক তির্যক মন্তব্য করতে থাকেন নেটিজেনরা। বিষয়টি নজরে আসে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। তাতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তবে নানুরের মণ্ডল সভাপতি চন্দ্রচূড় ঘোষ ফেসবুক থেকে পোস্টটি মুছে দেননি।
একুশের নির্বাচন পরবর্তী যে এলাকাগুলিতে রাজনৈতিক হিংসা হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম নানুর বিধানসভা। এখান থেকে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এই বিধানসভা এলাকায় অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া। বহু বাড়ি লুটপাট হয়েছে। যদিও গত একমাসে প্রচুর বিজেপি কর্মীকে ঘরে ফিরিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশ। বিজেপির ভূমিকা নিয়ে তথাগত রায়কেও তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে।
এবার নানুর বি ব্লকের সভাপতি চন্দ্রচূড় ঘোষের ফেসবুক পোষ্ট নিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। চন্দ্রচূড় ঘোষের ফেসবুক পোষ্টের পর একইভাবে একজন লিখেছেন, ‘সাধারণ কর্মীরা প্রাণে মরে, বড় বড় নেতারা সুস্বাধু ভোজন করে।’ এই বিষয়ে চন্দ্রচূড় ঘোষ বলেন, ‘নানুরে বিজেপি কর্মীর সঙ্গে আমিও ঘরছাড়া। কবে ফিরতে পারব জানি না। আর এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের ছবি আমাকে আঘাত করেছে। একজন সাধারণ বিজেপি কর্মী হয়ে তাই এই পোষ্ট করেছি।’