বুধবারই সকালে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল সাতগাছিয়ার নোদাখালি। অবৈধ বাজি কারখানায় আগুন লেগে মৃত্যু হয় তিনজনের। আর এই ঘটনায় এবার সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে সরাসরি চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে। উল্লেখ্য, নোদাখালি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই কেন্দ্রেরই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতেই বারুদ মজুত করে রাখা হয়েছিল নোদাখালিতে। তাই এর প্রেক্ষিতে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি।
শাহকে লেখা চিঠিতে সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, কেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে বারবার বিস্ফোরণ ঘটছে? কারা এর পিছনে রয়েছে? বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিৎ এনআইএর। এদিকে নোদাখআলি বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্য সভাপতির সুরে সুর মিলিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল সেখানে অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাঁর আরও বিস্ফোরক অভিযোগ, পুলিশ সবটা জেনেও উপর মহলের নির্দেশে নিষ্ক্রিয় থাকছে।
এক টুইট বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের ভয়ঙ্কর দৃশ্য। এখানেই একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। মানুষ মারা গিয়েছে। বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। গোটা এলাকা অপরাধীদের কবলে। এই জেলাটি ধীরে ধীরে জেএমবি জঙ্গি ও জিহাদিদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হচ্ছে।’
এদিকে নোদাখালি বিস্ফোরণের তদন্তে গতকালই ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক দল ও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার গোটা বাড়ি ঘুরে দেখেন তাঁরা। সংগ্রহ করেন নমুনা। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ঘরে বালির ভিতর বিস্ফোরক মজুত ছিল।