তিনদিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন অভিনেতা–রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রাক–পুজো সম্মেলনীতে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদারের এলাকার পুজোর উদ্বোধনে থাকার কথা মহাগুরুর। কিন্তু তাঁর বালুরঘাট সফর নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন তুঙ্গে উঠেছে। কারণ বিজেপির অভিযোগ, মিঠুনের সার্কিট হাউসে থাকার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। আবার মিঠুন বালুরঘাটে পৌঁছনোর আগেই সেখানে বিজেপির পোস্টার–ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? এই ঘটনাগুলি নিয়ে শিয়ালদায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এতে আমরা অভ্যস্ত। এটা নতুন কিছু নয়। মানুষ এসবের জবাব দেবেন। মিঠুনদা শুধু কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা নন। তিনি বাংলার একজন অ্যাসেট। তিনি এতবড় সুপারস্টার হওয়ার পরেও একটি প্রান্তিক জেলাতে যাওয়ার জন্য ট্রেনে জার্নি করছেন। যা অনেকে ভাবতে পারেন না। প্রান্তিক মানুষদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে। তার মধ্যে যে ধরনের আচরণ করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক।’
কী পদক্ষেপ করেছে বিজেপি? পর পর কয়েকটি ঘটনা ঘটায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বালুরঘাট থানায়। বালুরঘাট শহরের ট্যাঙ্ক মোড় থেকে পাওয়ার হাউস পর্যন্ত রাস্তায় লাগানো হয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তী এবং সুকান্ত মজুমদারের ছবি–সহ ফ্লেক্স। জেলা বিজেপি এই ফ্লেক্স লাগিয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ, শনিবার থেকেই সেই ফ্লেক্স খোলার সবরকম চেষ্টা করে পুরসভা এবং পুলিশ প্রশাসন। তাতে বাধা দেয় বিজেপি৷ আর রবিবার সকালে দেখা যায় ওই এলাকার একাধিক ফ্লেক্স ছেঁড়া হয়েছে। পুরো ঘটনা নিয়ে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কো–অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের কোনও নোংরা রাজনীতি করে না। আর তাতে বিশ্বাসও করে না। বিজেপি দক্ষিণ দিনাজপুরে এবং বালুরঘাটে বিভিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে। সুতরাং তাদের ঝামেলার জেরে কুকীর্তি অন্য রাজনৈতিক দলের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।’