কোজাগরী সন্ধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দ অধিকারীর পৈত্রিক বাড়ি কাঁথির শান্তিকুঞ্জে গেলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উদ্দেশে তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ। সুকান্ত অবশ্য একে অরাজনৈতিক বললেও এই সাক্ষাৎকে কটাক্ষ করল তৃণমূল।
বিজেপি সূত্রে খবর, কোজাগরীর দিন ঘটা করে লক্ষ্মী পুজো হয় শান্তিকুঞ্জে। তাঁরই আমন্ত্রণ ছিল দলের রাজ্য সভাপতির। তিনি পৌঁছতেই তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট ভাই কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী। পরস্পরকে সৌজন্য জানানোর পর সুকান্ত চলে যান শিশির অধিকারীর কাছে। তাঁকে বিজয়ার প্রণাম জানান। বেশ খানিক ক্ষণ কথা হয় দু'জনের মধ্যে। সেই সময় ঘরে ছিলেন শুভেন্দু এবং দিব্যেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর মা গায়েত্রীর দেবীর সঙ্গেও দেখা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শিশিরকে ধুতি-পঞ্জাবী এবং তাঁর স্ত্রীকে শাড়ি দেন তিনি। পরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমি বিজয়ার প্রণাম করতে এসেছিলাম। পশ্চিমবঙ্গে যে ক'জন প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক বেঁচে আছেন শিশিরবাবু তাঁদের একজন। তাঁকে সম্মান জানাতে এসেছিলাম।'
এ প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি কী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বিজয়া করতে যাবেন? উত্তরে তিনি বলেন 'আমি যেতেই পারতাম,কিন্তু তাঁর হাতে আমাদের কর্মীদের রক্ত লেগে আছে। তাই যাব না।'
এই সাক্ষাৎকারকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন,'অধিকারী পরিবার যে দলবদলু তা আবার প্রমাণ হল। শিশিরবাবু এখনও তৃণমূল সাংসদ অথচ বৈঠক করছেন বিজেপি সভাপতির সঙ্গে।'
শুক্রবার বিরোধী দলনেতারভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাঁথি থানায় ডেকেছিল পুলিশ। টানা দশ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি তাদের পাশে আছে-এই বার্তা দিতেই শান্তিকঞ্জে গিয়েছিলেন সুকান্ত, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।