রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ দু’মাসের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেয়ে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে প্যাঁচার ভাণ্ডার বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুধু তাই নয়, খোদ বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই কটাক্ষ করেছেন তিনি। এটা অনুব্রত মণ্ডলের গড় বলেই পরিচিত। সেখানে দাঁড়িয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে কটাক্ষ করায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? এদিন তিনি বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বেশিদিন চলবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলবে নাকি পরে তা প্যাঁচার ভাণ্ডার চালু হবে সেটা পরে দেখা যাবে।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ দু’দিনের কর্মসূচি নিয়ে বীরভূমে আসেন। বীরভূমের সিউড়িতে কর্মসূচি করার পর শুক্রবার সকালে তারাপীঠ মন্দিরের যান তাঁরা মায়ের পূজা দিতে। সেখানেই তিনি রাজ্য সরকারের রাজকোষ এবং বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন।
কেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলবে না? এই প্রকল্প এখন জনগণের মুখে মুখে ফিরছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার খুব বেশিদিন চলবে বলে আমার মনে হয় না। ইতিমধ্যেই আপনারা দেখেছেন দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে রেশন ডিলাররা জানিয়ে দিয়েছেন এইভাবে চলতে পারে না। কারণ এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ নেই। আপনি লোকের বাড়ি পর্যন্ত রেশন পৌঁছে দেবেন তার জন্য তেল, কর্মী লাগবে তো। সেই টাকাগুলো তো দিতে হবে বাজেটে। তা কোনও বাজেট নেই রাজ্য সরকারের। এইগুলো সবই চমক।’
এদিন তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা নিয়ে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, ‘এখনকার দিনে ৫০০ টাকায় কি হয়? দিদিমনি বলেছিলেন চার মাস আগে চালু করবেন। জুন মাস থেকে চালু করবেন। তাহলে এই চার মাসের বোনাস বলুন বা যাই বলুন তা তো দেওয়া উচিত ছিল পুজোর সময়। কিন্তু কেন জনগণ পেল না? মুখ্যমন্ত্রীর আগে তার উত্তর দেওয়া উচিত। তারপরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলবে না প্যাঁচার ভাণ্ডার চালু হবে দেখা যাবে।’