শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি শেষে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে কাঁথির বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। সূত্রের খবর, ‘হামলার’ বিষয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে নালিশ করেছেন শুভেন্দু। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
রবিবারে কাঁথির ঢোলামারি বাজার থেকে মুকুন্দপুর পর্যন্ত রোড শো করেন শুভেন্দু। রোড শো শেষে মুকুন্দপুরে রোড শো শেষে সভা করেন। সেখান থেকে ফেরার সময় মানিকপুরের কাছে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে দিঘা-মেচেদা সড়কে অবরোধ করা হয়। কাঁথি, ভগবানপুরেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। কাঁথির রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সে বিষয়ে শাহের কাছে নালিশ করেছেন শুভেন্দু। কীভাবে বিজেপি কর্মীদের উপর ‘হামলা’ চালানো হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানান। ‘হামলার’ বিষয়ে শুভেন্দুর অনুগামী কনিষ্ক পন্ডা দাবি করেন, শুভেন্দুর সভায় এত লোক এসেছেন, তা দেখে চমকে গিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানোর জন্য হামলা চালানো হয়েছে। ‘ভাইপোর’ লোকেরা হামলা চালিয়ে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ। তাঁর হুঙ্কার, 'সাহস থাকলে সামনে এসে করা হোক।’
যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুরের যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি দাবি করেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। কারণ রাজনৈতিকভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিজেপি। তাই বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে কাঁথিকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। একইসুরে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, আদি-নব্য বিজেপির দ্বন্দ্বের কারণেই ঝামেলা হয়েছে। বিজেপিকে সার্কাসের দল হিসেবেও কটাক্ষ করেন তিনি।