বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে গেরুয়া সংগঠনের হাল বেহাল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বিজেপির রাজ্য দফতরে নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আরও বেশি করে জনসংযোগে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার সর্বস্তরের নাগরিকের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে চাইছে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। এমনকী প্রচারে সংখ্যালঘুদেরও বিশেষ গুরুত্ব দিতে চলেছে তাঁরা বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি? বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক। এই রাজ্যে তাঁরা অনেক সরকারি সুবিধা পান। তাই এবার সেই সংখ্যালঘুদের মন পেতে জনসংযোগে নামছে বিজেপিও। বঙ্গ–বিজেপিকে সংখ্যালঘুদের দুয়ারে গিয়ে জনসংযোগের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সদ্য বিএল সন্তো্যের বৈঠকেও এই কথা উঠে এসেছিল। ভোটার তালিকা দেখে সংখ্যালঘু ভোটারদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রত্যেকটা গ্রামে গিয়ে কথা বলতে হবে সংখ্যালঘু মানুষদের সঙ্গে। তাঁদের মন থেকে বিজেপি–ভীতি দূর করার নিদান দেওয়া হয়েছে। মোদী সরকারের নানা প্রকল্পের কথা জানাতে বলা হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন বিরোধী দলনেতা? এই নির্দেশের পর নতুন বছর থেকেই গ্রামীণ এলাকা চষে বেড়াবেন বিজেপি নেতারা। প্রচারের ফাঁকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলবেন তাঁরা। সংখ্যালঘু মানুষজনের বাড়িতে গিয়েও দাওয়ায় বসে কথা বলবেন। সাংগঠনিক জেলার নেতারাই এই কর্মসূচির দায়িত্বে থাকবেন বলে সূত্রের খবর। তবে এই বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বিজেপি সংখ্যালঘু বিরোধী নয়। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের পরে আগামী নির্বাচনে বাংলার নির্বাচনেও প্রমাণ করবে রাজ্যের সংখ্যালঘুরাও বিজেপিকে চাইছে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? একুশের নির্বাচনেও সংখ্যালঘুদের ভোট পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বিজেপি তেমন দাঁত ফোটাতে পারেনি। পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষ্যে এখন জেলা সফর থেকে শুরু করে সভা–সমাবেশ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তাঁদের লড়াইয়ের মূল বিষয় গ্রামীণ উন্নয়ন। সামাজিক প্রকল্প মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছে বলেই এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন ঘাসফুলের নেতারা। সেখানে বিজেপির তেমন কোনও উদ্যোগ মানুষ দেখতে পায়নি। তাই এবার রাজ্যজুড়ে সংখ্যালঘুদের দুয়ারে যেতে চায় তারা।