দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের তুফানগঞ্জে। বিজেপির বনধে এদিন শহরের রাস্তা ছিল শুনশান। দোকানপাট ছিল বন্ধ। বনধের সমর্থনে বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করে বিজেপি। পালটা পথে নামে তৃণমূল। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।
বুধবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জে খুন হন বিজেপির বুথ কমিটির সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকার। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিটিয়ে মেরেছে। দোষীদের গ্রেফতারি ও শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার তুফানগঞ্জ বনধ ডাকে বিজেপি। সেই বনধ ঘিরে এদিন উত্তেজনা ছড়ায়।
বনধকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শুনশান ছিল তুফানগঞ্জের পথঘাট। খোলেনি দোকান। তবে জাতীয় সড়ক দিয়ে অসমের পথে যানবাহন চলাচল করেছে। চলেছে সরকারি বাস। এদিন বনধের সমর্থনে সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা। টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন। পালটা বনধ বিরোধিতায় মিছিল করে তৃণমূলও। বিভিন্ন জায়গায় ২ মিছিল মুখোমুখি হলে উত্তেজনা ছড়ায়।
তুফানগঞ্জের জোড়াই মোড়ে দুদল মুখোমুখি হলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এর পর পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। উত্তেজনা প্রশমণে লাঠি চালায় পুলিশ। দু পক্ষের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা।
বনধ সফল বলে দাবি করে স্থানীয় বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, বনধের সমর্থনে বিজেপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। ধৃত কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোতয়ালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়ের পালটা দাবি, আমাদের কর্মীরা পথে নামলে বিজেপিকে রাস্তায় খুঁজে পাওয়া যেত না। আমাদের প্রশাসনের ওপর আস্থা রয়েছে। সাধারণ মানুষ বনধ ব্যর্থ করেছেন।