বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও অভিযান’-এ ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের মাথভাঙা শহরের একাধিক জায়গায়। তৃণমূল – বিজেপি সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দু’পক্ষেরই দাবি, তাদের ওপর আগে হামলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তত ১ জায়গায় কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পুলিশকে।
বিজেপির অভিযোগ, শুক্রবার মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দিয়ে ফেরার সময় তাদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। যে গাড়িগুলিতে করে তৃণমূল কর্মীরা ফিরছিলেন তাতে হামলা চালানো হয়। লাঠি দিয়ে মেরে গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, তাদের ওপর পরিকল্পনামাফিক হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। হামলায় বেশ কয়েকজন বিজেপিকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মনের।
এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে মাথাভাঙা শহরের শনি মন্দির মোড়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। খবর পেয়ে সেখানে আসেন পুলিশকর্মীরা। কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়।
পালটা হামলার অভিযোগ করেছে তৃণমূলও। তাদের দাবি, শুক্রবার স্মারকলিপি দিয়ে ফেরার সময় হাজারহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ জন তৃণমূলকর্মী মসজিদ থেকে নমাজ পড়ে বেরোচ্ছিলেন। তখন তাদের ওপর বিনা প্ররোচনায় হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের বাঁচাতে আরেক তৃণমূলকর্মী এগিয়ে এলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়।
শুক্রবারের ঘটনার পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মাথাভাঙা শহর জুড়ে। রাজনৈতিক সংঘর্ষ মাথাভাঙাবাসীর কাছে নতুন কিছু নয়। কিন্তু এরকম উত্তেজনা আগে দেখননি বলে জানিয়েছেন অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরজুড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু তাতেও আতঙ্ক কাটছে না অনেকের।