দুর্গাপুজোর আগে নবান্ন অভিযান করেছিল বিজেপি। তাতে কিছু বিশৃঙ্খলা ছাড়া তেমন দাগ কাটতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এবার দুর্গাপুজো মিটতেই প্রতিটি জেলায় নবান্ন অভিযানের ধাঁচে আন্দোলন করতে চলেছে বিজেপি। দুর্নীতি ইস্যুকে সামনে রেখে আন্দোলন করতে চাইছে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। আর সেটা করতে গেলে দরকার মজবুত সংগঠন। এবার সেই আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে চলেছে বলে মুরলিধর সেন লেন সূত্রের খবর।
কেন এই আন্দোলন কর্মসূচি? সূত্রের খবর, কালীপুজো মিটলেই এবার নবান্ন অভিযানের ধাঁচে জেলায় জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি নিতে চলেছে বিজেপি। কারণ বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে দাগ কাটতে চাইলে আন্দোলন করা প্রয়োজন। আবার সংগঠনকে চাঙ্গা করতে হলে আন্দোলনই একমাত্র পথ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রতিটি জেলার সংগঠন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে বিজেপির। সেই সংগঠন নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নামলে গোহারা হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তাই এই আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।
কেমন হবে এই আন্দোলন? বিজেপি সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করেই ময়দানে নামা হবে। প্রতিটি জেলার জেলাশাসক বা মহকুমাশাসকের দফতর ঘেরাও করা হবে। কালীপুজো মিটলেই এই আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসবে দল। সেখানেই কে, কোন জেলার দায়িত্বে থাকবে তা ঠিক হবে। একেবারে মণ্ডল স্তর থেকে সংগঠনকে প্রস্তুত করতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তারপর শুরু হবে আন্দোলন কর্মসূচি।
কী বলছে বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেস? এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘গতবারের মতো এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে দেব না।’ আর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘একুশে হারার পর বলবে পরেরবার হারাব। তারপর আবার বলবে পরেরটা হারাব। গাজর যদি ঝুলিয়ে না রাখে তবে ওদের কর্মীরা তো ওদের চেয়ার ধরে টানবে।’