পশ্চিমবঙ্গের শস্যভান্ডার বর্ধমানে এসেছেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। ঠিক এক মাস আগে তাঁর কর্মসূচি ছিল ডায়মন্ড হারবারে। সেখানে একটি কর্মিসভায় যাওয়ার পথে তাঁর কনভয় ঘিরে চলে হামলা। উড়ে আসে ইট, পাটকেল, এমনকী পাথরও। এ ঘটনায় বিতর্কের জল গড়ায় দিল্লি পর্যন্ত। নতুন করে শুরু হয় রাজ্য–কেন্দ্র সঙ্ঘাত।
সে বার জখম হয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আর এবার নড্ডার বর্ধমান সফরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। শনিবার তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গতবারের মতো যদি পরিস্থিতি হয় তা হলে এবার বুঝে নেবে বিজেপি। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের দায়িত্ব।’
এদিন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে তার দায় রাজ্য সরকারের। আর আমার মনে হয় ওরা যদি নিরাপত্তা ঠিকমতো না দেয়, তবে আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতির সুরক্ষার জন্য আমাদের কর্মকর্তারাই যথেষ্ট। আমার বিশ্বাস, সরকার আর আগের মতো ভুল করবে না। আর যদি করে, তবে তার জবাব আমরা দেব।’
হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাও। তিনি এদিন জানান, যদি বর্ধমানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তার জন্য সম্পূর্ণভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশাসনকে দায়ী থাকতে হবে। রাহুল সিনহার কথায়, ‘ডায়মন্ড হারবারে ওইভাবে পুলিশের সামনে হামলা করার পরও এইভাবে একটা প্রত্যন্ত গ্রামে নিজের কর্মসূচি সারতে নড্ডাজি আসছেন, এর থেকে তৃণমূলের প্রতি বার্তা, যে তৃণমূলের হামলা, সন্ত্রাসের ভয়ে আমরা ভীত নই। যদি বর্ধমানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তার জন্য সম্পূর্ণভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশাসনকে দায়ী থাকতে হবে।’
রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, ‘নিরাপত্তার ভরসায় আমরা রাজনীতি করছি না। তৃণমূল কখন হামলা করবে এই ভরসায় আমরা রাজনীতি করছি না। বিজেপি নিজের বিনাশের বীজ নিজেরাই পুঁতে দিচ্ছে। কারণ, এই হামলাই সিপিএম করেছিল। এখন সিপিএমের রাস্তায় তৃণমূল হাঁটতে শুরু করেছে। অর্থাৎ সিপিএমের থেকেও তৃণমূলের খারাপ অবস্থা হতে চলেছে।’