চন্দনা বাউড়ি ও গাড়ি চালকের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিজেপিকে প্রবল অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল। এবার আরও এক বিজেপি নেত্রীর কেচ্ছা সামনে চলে এলো। আর তা নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ স্বামীর মৃত্যুর পর এই মহিলা যোগ দিয়েছেন বিজেপি শিবিরে। আর তাঁকেই জঙ্গলে প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাকড়াও করলেন গ্রামের মহিলারা। বাঁকুড়ার রানিবাঁধে এখন এটাই চায়ে পে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই এলাকায় বিজেপি নেতা ছিলেন অজিত মুর্মু। তিনি ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে খুন হন। এই ঘটনার বেশকিছু দিন পর বিজেপিতে যোগ দেন তাঁর স্ত্রী উর্মিলা মুর্মু। এখনও দলের দায়িত্বও আছেন তিনি। আর তাঁকেই আজ জঙ্গলে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেছেন গ্রামের মহিলারা। আর তার জেরে প্রবল হইচই শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, আজ সকালে জঙ্গলে কাঠ আনতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মহিলা। তখন বিজেপি নেত্রী উর্মিলা মুর্মুকে প্রেমিক গুরুপদ মাহাতোর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। তখন গ্রামের মহিলারা প্রতিবাদ করে ওঠেন। কোনওরকমে তাঁরা পোশাক পরতেই তাঁদের নিয়ে আসা হয় গ্রামে। তাঁদের ঘেরাও করে রাখেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গুরুপদের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন উর্মিলা। যদিও জেলা বিজেপির দাবি, তাঁকে দলে টানার জন্য চক্রান্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির দ্বিতীয় বিয়েকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বাঁকুড়ায়। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়িয়েছিল। এবার আবার সেই বাঁকুড়ায় আর এক বিজেপি নেত্রীর কেচ্ছা সামনে আসতে গ্রামের মহিলারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। এই এলাকার সাংসদ ডাঃ সুভা্য সরকার। তিনি আবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। যদিও তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।