লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। গতবারের থেকে লোকসভায় বিজেপির ৬ টি আসন কমেছে। তবে সমবায় সমিতির নির্বাচনে দেখা গেল একেবারে উল্টো ছবি। নন্দীগ্রামের একটি সমবায় সমিতি নির্বাচনে কার্যত গেরুয়া ঝড় উঠল। পূর্ব মেদিনীপুর নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রিয়ানগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের পরিচালন সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। সেখানে ঘাসফুল শিবিরকে ধরাশায়ী করে বিপুল আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের ঠিক পরেই এই জয় স্বাভাবিকভাবেই দলের কর্মীদের চাঙ্গা করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর গড়ে আবার হার বিজেপির, এগরা সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূলের
কোন দল কটি আসন জিতল?
এই সমবায় সমিতিতে মোট আসন হল ১২ টি এবং ভোটার সংখ্যা ৬৬০। ১২ টি আসনেই এখানে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। তবে সবকটি আসনে প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল। ১২ টির মধ্যে ২ আসন বাদে ১০টিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়। অন্যদিকে, বামেদের পক্ষ থেকে ৩ টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। আর ভোটের ফলাফলে দেখা যায় ১২টি আসনের মধ্যে ১১ টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি আর তৃণমূল পেয়েছে মাত্র ১ টি আসন। জয়ের পর বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা গেরুয়া আবির উড়িয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে।
উল্লেখ্য, প্রিয়ানগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ২১ জানুয়ারি। তবে নানা কারণে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ২৫ মে ভোট হওয়ার কথ থাকলেও লোকসভা চলে আসায় উপযুক্ত বাহিনী দিতে না পারার কারণে আজ ২৩ জুন ভোটের দিন ধার্য করা হয়।
যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয় ভোটের আগের দিন থেকেই তাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। বিজেপির তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের শাঁসিয়ে আসা হয়েছে। তবে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তমলুক সংগঠনিক জেলার বিজেপির সম্পাদক মেঘনাথ পাল। তিনি বলেন, ‘এখানে তৃণমূল বা বামেদের কোনও সংগঠন নেই। বামেরা গড়ে তিনটি পাঁচটি করে ভোট পেয়েছে। আর তৃণমূল পেয়েছে ৩০-৩৫টি করে ভোট। এতে বোঝা যাচ্ছে মানুষ বিজেপিকে চাই। হেরে যাওয়ার পর এখন তৃণমূল নানান কথা বলছে। এই সমস্ত কথা না বলে হরিপুর অঞ্চলে তৃণমূল সংগঠনটা ভালোভাবে করুক। ওইসব ফালতু কথা বলে কোনও লাভ নেই।’