ভোটের মরশুমেই এবার বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি ভাঙচুর করা হল দোকান। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে শেষে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সিউড়ির কড়িধ্যা গ্রামে। যদিও মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন বিজেপি কর্মী। পালটা মহিলার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে প্রচুর টাকা ধার নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জে ভোটের আগে স্লিপ বিলি করতে গিয়ে মহিলার শ্লীলতাহানি, কাঠগড়ায় TMC কর্মী
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীর নাম বিবেক দাস। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। সেখানে একটি মুদিখানা দোকান আছে বিজেপি কর্মীর। মহিলার অভিযোগ আজ রবিবার তিনি বিবেকের দোকানে কিছু জিনিস কিনতে যান। সেই সময় তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন ওই বিজেপি কর্মী। ঘটনায় ওই মহিলা তার প্রতিবাদ জানান এবং সেই সময়ের মধ্যে সেখান থেকে চলে যান। তখনকার মতো পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও পরে বিষয়টি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিজেপি কর্মীর এমন কীর্তিতে বেজায় ক্ষুব্ধ হন গ্রামবাসীরা। এরপর তারা বাঁশ, লাথি নিয়ে এসে বিবেকের ওপর চড়াও হন। তারা বিজেপি কর্মীকে মারধর করার পাশাপাশি তার মুদির দোকানে ভাঙচুর চালান। পরে তার মুদির দোকান বন্ধ করে দেন স্থানীয়রা। এছাড়াও, সেখানে বিবেকের বাইক ছিল। বাইকটিও ভাঙচুর চালান ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় স্থানীয় থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পরে পুলিশ অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। পালটা মহিলা এবং গ্রামের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি কর্মীর পরিবার। বিজেপি কর্মীর পরিবারের দাবি, মহিলাকে কোনওভাবেই কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আসলে ওই মহিলার স্বামী বিবেকের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু, অনেকদিন হয়ে যাওয়ার পরেও সেই টাকা শোধ করেননি। তাই মহিলা দোকানে আসতেই টাকা ফেরত চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, মহিলা মিথ্যা ভাবে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। দুপক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রায়গঞ্জে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, ওই তৃণমূল কর্মী ভোটের স্লিপ দিতে গিয়ে মহিলার শ্লীলতাহানি করেন। ঘটনায় অভিযুক্তকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করার হয়েছিল। আর এবার মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হল।