আজ, শুক্রবার আবারও অশান্তি দেখা গেল নন্দীগ্রামে। সরকারি প্রকল্পের টাকা নিজেদের পকেটে পুড়েছেন পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা। এই অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝোলাতে যান বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। আর তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি অফিসে এমন ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ শুক্রবার নন্দীগ্রামের আমদাবাদ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচি অনুযায়ী মিছিল করে পঞ্চায়েত অফিসে ডেপুটেশন দিতে যায় বিজেপি কর্মীরা। ডেপুটেশন দিতে গিয়েই নন্দীগ্রাম থানার পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। তখন বিজেপি কর্মীরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে চাবি–তালা লাগাতে গেলে বাধা দেয় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। ওই মুহূর্তে রীতিমতো টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। নন্দীগ্রামে আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তখন এখানের নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন তিনিই বিজেপিতে গিয়েছেন। আবার একুশের নির্বাচনে জিতে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামের এই ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করা এখনন বিজেপির লক্ষ্য। আর গড় ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। তাই দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল বেঁধেছিল।
ঠিক কী বলছে বিজেপি? এই ঘটনার পর বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ–সভাপতি প্রলয় পাল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এখানকার ১৭টি পঞ্চায়েতে গায়ের জোরে দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সমস্ত আসনে বিরোধীশূন্য করে ক্ষমতায় এসেছিল। এখন অধিকাংশ পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি লাগামছাড়া দুর্নীতিতে যুক্ত। রাস্তার গাছ কেটে টাকা না দেওয়া, রাস্তা করার নামে টাকা তোলা চলছে। এবার নতুন করে শুরু হয়েছে আবাস যোজনায় দুর্নীতি।’