আজ মহালয়া। এই পুণ্য তিথিতে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবী পক্ষে সূচনায় নিজের পিতৃপুরুষের আত্মশান্তির জন্য তর্পণ করে থাকেন পুণ্যার্থীরা। তবে পিতৃপুরুষদের পরিবর্তে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে আজ তর্পণ করলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে শুভ শক্তির উদয়ের প্রার্থনা করে চুঁচুড়ার জোড়াঘাটে তর্পণ করলেন বিজেপি নেত্রী। লকেট বলেন, ‘বাংলায় যেভাবে সন্ত্রাস বেড়ে চলেছে, মা-বোনেদের উপর অত্যাচার বেড়ে চলেছে, খুন করা হচ্ছে, সেই অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির উদয়ের প্রার্থনা করেছি।’
আরও পড়ুন: শুভেন্দু ও দিলীপের ছবিতে মালা দিয়ে তর্পণ মদনের, ক্ষুব্ধ বিজেপি
এদিনই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালা দিয়ে তর্পণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বাংলায় বিজেপির মৃত্যু ঘটবে। তর্পণ করার জন্য আর কোনও বিজেপি নেতাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ লকেট চট্টোপাধ্যায় পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছে তৃণমূল নেতারা। সেই সমস্ত দুর্নীতি জনসমক্ষে আনা হবে। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আমাদের নিয়মিত মিটিং চলছে। চারদিকে যেভাবে দুর্নীতি চলছে তা মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে। লোকসভার আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীরা চোখে চোখ রেখে লড়াই করবে।’
এর পাশাপাশি, কুড়মিদের অবরোধ ওঠা প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘এই আন্দোলনের ফলে সাধারণ জীবন যাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এটা রাজ্য সরকারে অনেক আগে দেখা উচিত ছিল৷’ তার অভিযোগ, রাজ্য সরকারের ইন্ধনেই কুড়মি সমাজকে ভুল বুঝিয়ে এই আন্দোলনে রাখা হয়েছিল। কারণ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখন তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। তাই নজর ঘোরাতে এসব পরিকল্পিতভাবে তারা করেছে। তৃণমূল নেতারা গুন্ডামি করছে, মাস্তানি করে বেড়াচ্ছে।’