একুশের নির্বাচনের সময় গেরুয়া শিবিরকে দেখা গিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের নেতা ভাঙাতে। এবার নির্বাচন শেষ হয়ে ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরে মোহভঙ্গ হয়ে অনেকেই ঘাসফুল শিবিরে ভিড়ছেন। আর এটা যদি চলতে থাকে তাহলে জেলায় জেলায় সংগঠন ধরে রাখা মুশকিল হয়ে যাবে বিজেপির পক্ষ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। গতকাল সোনালি গুহ টুইট করে ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরতে চেয়েছেন।
এদিকে একুশের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, বাংলার মানুষ নিজের মেয়েকেই বেছে নিয়েছে। গোটা জেলাতেই একের পর এক ধাক্কা খেতে শুরু করেছে বিজেপি। বিজেপি ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। পুরুলিয়াতে বিজেপি ধাক্কা খেয়েছে। বিজেপি থেকে একাধিক নেতা–কর্মী–সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এমনকী কংগ্রেসের সহ–সভাপতি তথা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন দলবল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা ধরেন।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস যোগদানকারী উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির মতো প্রভাবশালী দলের বিরুদ্ধে একক লড়াই করে ক্ষমতায় আসার সাহস দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর লড়াইকে কুর্নিশ জানাই।’ তাঁকে দলে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, ‘উত্তমবাবু বামবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে ঘোরতর যুক্ত ছিলেন। তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ–সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে।
এখন যা পরিস্থিতিতে বহু বিজেপি নেতা এবার তৃণমূলমুখী হবেন। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই এখন বিপাকে পড়েছেন। বিজেপিতে এখন তাঁদের সক্রিয় ভূমিকা নেই। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চাইছেন তাঁরা বলে অনেকের মত।