শনিবার দিনহাটার বুড়িরহাটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা এবং তারপর বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে এবার বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হল, পুলিশ বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করেছে এই ঘটনায়। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করেনি। এই আবহে থানা ঘেরাও করার কর্মসূচির ঘোষণা করল বিজেপি। এদিকে ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি বন্দুক এবং কাটারি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে ছয় রাউন্ড তাজা গুলিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শান্তি বজায় রাখতে ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে এই হামলার পর পুলিশকে দুষে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, 'পুলিশ তৃণমূলের চামচাগিরি করছে।' (আরও পড়ুন: হোলিতে ঘুরতে যেতে চান পাহাড়ে? কিন্তু টিকিট নেই! স্পেশাল ট্রেনের ঘোষণা রেলের)
উল্লেখ্য, বুড়িরহাটের হিংসার ঘটনার পর কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেছিলেন, 'বিজেপি কর্মীরা এদিন বুড়িরহাটে হামলা চালিয়েছে।' পুলিশ কর্তার এহেন মন্তব্যের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'উনি একজন দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসার। তৃণমূলের চামচাগিরি করছেন। তাই ঘটনার তদন্ত না-করেই এধরনের মন্তব্য করেছেন।' নিশীথ অভিযোগ করেন, 'রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে না পেরেই হিংসার আশ্রয় নিয়েছে তৃণমূল।' তিনি বলেন, 'তালিবানি কায়দায় নেতা-মন্ত্রীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। এদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না আম জনতাও। বাংলায় নেতা-মন্ত্রীরা সুরক্ষিত নন। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে দুঃখজনক ঘটনা।'
আরও পড়ুন: এপ্রিলেই গঙ্গার তলা দিয়ে ছুটবে মেট্রো, বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে রেল কর্তৃপক্ষ
এদিকে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, 'পুলিশ, প্রশাসনের সামনেই তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের বহু কর্মী জখম হন এই হামলায়। এরপর শনিবার রাত থেকে তৃণমূল সমর্থকরা আমাদের একাধিক পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। দলীয় কর্মীদের বাড়িতেও আক্রমণ করেছে তৃণমূল কর্মীরা। এর প্রতিবাদে জেলায় জেলায় থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। কোচবিহার জেলার প্রতিটি মহকুমাতে থানা ঘেরাও করা হবে।'