শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করল তমলুক থানার পুলিশ। তবে ওই ব্যক্তি যে তাঁর ঘনিষ্ঠ নয় বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, এগুলো ‘বানানো ঘনিষ্ঠতা’।
তবে তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে রাজনীতি থেকে জেলা প্রশাসনের অন্দরে ছিল এই অভিযুক্তের অবাধ যাতায়াত। তাঁদের আরও দাবি, কারখানার সামান্য শ্রমিক থেকে হলদিয়ার ‘বেতাজ বাদশা’ হয়ে উঠেছিল ওই অভিযুক্ত। উল্কাগতিতে তার উত্থানের গল্প হলদিয়ার রাজনৈতিক মহলে সবার মুখে মুখে প্রচলিত। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শেখ আমিন উরফে আরমান ভোলা। রবিবার রাতে দুই শাগরেদ-সহ আরমানকে দু’টো দেশি আগ্রেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করেছে তমলুক থানার পুলিশ।ধৃতদের কাছ থেকে ৭ রাউন্ড কার্তুজও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের সোনোপোতা টোলপ্লাজা সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই সাগরেদ-সহ আরমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার আরমান সহ ৩ ধৃতকে তমলুক আদালতে তোলা হলে ১১ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হলদিয়ার বাসিন্দা আরমানকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন শুভেন্দু।তবে এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘ঘনিষ্ঠ শব্দটা সংবাদমাধ্যমের তৈরি।’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘ এ রাজ্যে ২ মে-র পর থেকে ৩ হাজারের বেশি মিথ্যা মামলা রুজু হয়েছে। হলদিয়া থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত সর্বত্র এমন মামলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই মামলাগুলোর ৯০ শতাংশই মিথ্যা। সপ্তাহে সপ্তাহে মামলা হচ্ছে। এগুলো খুব ভুল হচ্ছে। এ সব করে বিরোধীদের রোখা যাবে না।’ এর পর তিনি এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক অভিযোগের সিবিআই তদন্তের দাবিও তোলেন তিনি।